বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুরের পাঁচ বছর কারাদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২২, ১৪:২১

সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) বজলুর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।
রায়ে একইসাথে তার জ্ঞাত বহির্ভূত আয় তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় সস্ত্রীক বজলুর রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর বজলুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিনই দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। ২২ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
যুক্তিতর্কের সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলেন।
এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড দিয়ে তাকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।