দুর্নীতির মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আপিল বিভাগেও বহাল রয়েছে।

এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদন আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং আউয়াল ও তার স্ত্রীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান।

পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট আউয়াল সাহেব ও তার স্ত্রীকে যে জামিন দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন (আপিল বিভাগ)। এর ফলে তাদের জামিন বহাল থাকল।

জালিয়াতি করে খাস জমি লিজ নিয়ে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আউয়ালে বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক। বরিশালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কমিশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী আকবর বাদী হয়ে গত বছর ৩০ ডিসেম্বর মামলাগুলো করেন।

এর মধ্যে এক মামলায় অভিযোগ করা হয়, অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যহারের করে আউয়াল ছয়জন ভুয়া ব্যক্তিকে ভূমিহীন দেখিয়ে সরকারি খাস জমি লিজ নেন। লিজ নেয়া জমি পরে স্ত্রীর মালিকানায় দেখিয়ে সেখানে তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবনটি পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ভাড়া দেয়া হয়।

একইভাবে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলা ডাকবাংলোর কাছে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে আধুনিক ডাকবাংলো নির্মাণের অভিযোগে আউয়ালের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি হয় পিরোজপুর শহরের খুমুরিয়া এলাকার রাজারপুকুর এলাকায় ৪৪ শতক সরকারি খাস জমি ঘিরে দেয়াল তুলে দখলে রাখার অভিযোগে।

আউয়াল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর এসব মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় দুদক। এরপর গত ৭ জানুয়ারি ওই দম্পতি হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পান।

পিরোজপুর-১ আসন  থেকে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন আউয়াল।