
সাফাত আহমেদ
বনানীর রেইনট্রি হোটেলে শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহারের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে পুলিশের জন্য বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বিচারক বেগম কামরুন্নাহার। তিনি বলেছেন, ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলে, কেউ যদি মামলা করতে যায়, তাহলে পুলিশ যেন মামলা না নেয়।
তিনি বলেন, এই মামলাটি ৯৩ দিন ট্রায়ালে সময় নিয়েছে। এই সময়ে অন্যান্য অনেক মামলার বিচার করা সম্ভব হত। এই মামলায় দুইজন ভিকটিম তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন। ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি’। এই মামলাটি একটি অহেতুক মামলা। এই অহেতুক মামলায় রাষ্ট্রের অনেক সময় অপচয় হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মূলত আসামি সাফাতের সাবেক স্ত্রী পিয়াসা এই মামলাটি করতে সহায়তা করেন ভিকটিমকে। পুলিশ অহেতুক মামলাটি গ্রহণ করেছে। পরবর্তীতে ট্রায়ালে পাঠিয়ে বিচার বিভাগের অযথা সময় নষ্ট করেছে।