গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে সরকার গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর আন্দোলনের সময় গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা দায়ের করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এমএইচ তানিম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ সংক্রান্ত অভিযোগ রুজু করেন।
গত ৫ আগস্ট সাভারে গুলিবিদ্ধ নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল কবিরের পক্ষে তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন। গুলিবিদ্ধ সিয়াম ৭ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক আতাউর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা অভিযোগটি নথিভুক্ত করেছি এবং এর ফলে মামলার তদন্ত শুরু হলো। তদন্ত শেষ হওয়ার পর আমরা পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর অফিসে প্রতিবেদন জমা দেব।
অপর অভিযুক্তরা হলেন-সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।
গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা সংঘটিত করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।
মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও দলের অন্যান্য অঙ্গ-সংগঠনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে, আজ সকালে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা ও গুলি বর্ষণের ঘটনার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হবে।
তার এ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলাটি করা হলো।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh