সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ৫ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলা ও জামায়াত নেতা আব্দুর জাব্বার হত্যা মামলায় মেহেরপুরে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

একইসঙ্গে ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা সরফরাজ হোসেন মৃদুল এবং ভগ্নিপতি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকেও পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন বিচারক।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক শারমিন নাহার এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মানস রঞ্জন দাস।

এর আগে ওই দুই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর সেলিম আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। পরে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

রিমান্ডের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন- কোর্ট ইন্সপেক্টর মানস রঞ্জন দাস ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজনসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

অন্যদিকে, রিমান্ড আবেদনের বিপক্ষে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবী ইব্রাহিম শাহিন, আব্দুল মতিন, ইয়ারুল ইসলাম।

এই সময় শুনানিতে রিমান্ডের পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করতে গিয়ে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবিদের মধ্যে আদালতের ভিতরেই তুমুল হট্টোগোলের সৃষ্টি হয়।

পরে আদালত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়ের করা সন্ত্রাস দমন আইনের (জিআর ২৭৭/২৪) মামলায় তিন দিনের এবং জামায়াত নেতা আব্দুর জাব্বার হত্যা (জিআর ২৬৩/২৪) মামলায় দুই দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে রিমান্ড গ্রহণের আদেশ দেন।

এদিকে আদালতে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের রিমান্ড শুনানি চলার সময় কক্ষের বাইরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও ছাত্রদলের কর্মীরা বিক্ষোভ করেন।

পরে কড়া পুলিশ প্রহরায় আসামিদের আদালত থেকে থানা হাজতে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় সাবেক মন্ত্রীকে ‘ভুয়া ভুয়া’ এবং ‘ফাঁসি চাই’ শ্লোগান দিয়ে ডিম এবং ইটপাটকেল ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মানস রঞ্জন দাস বলেন, বিক্ষোভকারীরা আদালতের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিলে আসামিদের গাড়িবহর আটকে যায়।

পরে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ফটক খুলে দিলে সাবেক মন্ত্রীসহ আসামিদের বহনকারী গাড়িবহর ৪টার দিকে মেহেরপুর সদর থানায় পৌঁছায়।