Logo
×

Follow Us

প্রচ্ছদ প্রতিবেদন

যখন সংকটে নিমজ্জমান দ্রোহের কবি

Icon

গাজী তানজিয়া

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১৫:১৭

যখন সংকটে নিমজ্জমান দ্রোহের কবি

কাজী নজরুল ইসলাম

অনগ্রসর সমাজে লেখক মাত্রই নানা সংকট ও বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হয়। আর যদি তিনি হন রাজনীতি সচেতন, বিপ্লবী বা বিদ্রোহী, একই সঙ্গে জনপ্রিয়, তাহলে তার সংকট আরো গভীর। ১৯ শতকে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতবর্ষে স্বাধীনতার তীব্র আকাক্সক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে যে কবির আবির্ভাব ঘটে, তিনি কাজী নজরুল ইসলাম। বেঙ্গলি ডবল কোম্পানিতে যোগদান করার যে ডাক নজরুল ইসলামের কানে পৌঁছেছিল, সেটা তার কাছে নিছক একটি যুদ্ধ ছিল না, ছিল দেশপ্রেমের আহ্বান। নইলে ক্লাসের প্রথম ছাত্র, সবাই যখন ভাবছিল পরীক্ষা দিলে স্কলারশিপ পাবে, সে কী কারণে সব ছেড়ে চলে গেল! তরুণ সৈনিকরা দেখা যায় প্রায়ই উদ্দাম স্বভাব নিয়ে ফিরে আসেন। আর সেখান থেকে নজরুল ফিরে এলেন দেশপ্রেমে ভরপুর হয়ে। 

পল্টন থেকে ফিরে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির অফিসে কাজী নজরুল ইসলাম যখন থাকতে এলেন, তখন ওখান থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছিল ‘মোসলেম ভারত’ নামক সাহিত্য পত্রিকা। আফজালুল হক সাহেব নজরুলের সঙ্গে এক ধরনের চুক্তি করলেন যে, তিনি নিয়মিত মোসলেম ভারত পত্রিকায় লিখবেন। পরবর্তীকালে নজরুল ইসলামের লেখা ছাপানোর জন্য ‘মোসলেম ভারত’ প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল, নাকি এই পত্রিকাটির জন্যই কবি রাতারাতি খ্যাতি লাভ করেছিলেন, হিসাব মেলানো মুশকিল। তবে এর কিছুদিন পরই কমরেড মুজাফফর এবং কাজী নজরুল ইসলাম একটি নতুন বাংলা পত্রিকা প্রকাশের পরিকল্পনা করলেন। কিন্তু পত্রিকা প্রকাশ করার জন্য টাকা দরকার। সেই ফান্ড কীভাবে জোগাড় হবে তারা সেই চিন্তায় ছিলেন।

প্রথম বিশ^যুদ্ধের পর একদিকে জনগণ যেমন বিক্ষোভে ফেটে পড়ছিল, আবার অন্যদিকে কিছু ভারতীয় মুনাফাকারী নতুন জয়েন্ট স্টক কোম্পানিও রেজিস্ট্রি করেছিলেন। তারা (নজরুল-মুজাফফর) ভাবলেন টাকা সংগ্রহের জন্য ও রকম কিছু করা যায় কি না। পরামর্শের জন্য তারা তখন শের-এ-বাংলা একে ফজলুল হকের কাছে গেলেন। তিনি বললেন, একটা প্রেস আছে, টাকাও আছে, তাদের যদি কাগজ চালাবার সাহস থাকে তবে সব ব্যবস্থা তিনি করে দিতে পারেন। সিদ্ধান্ত হলো ২০ ইঞ্চি বাই ২৬ ইঞ্চি একটা সান্ধ্য কাগজ তারা করবেন। তবে ফজলুল হক সাহেবও চাচ্ছিলেন পত্রিকার একটি মুসলমানি নাম হোক। তার যুক্তি এই যে, তাদের কাগজ হিন্দুরা কিনবে না, আর অন্যদিকে মুসলমানরা বুঝতে পারবে না এটা মুসলমানদের কাগজ। কিন্তু দুজনের কেউই মুসলমানি নামে রাজি নন। ফলে পত্রিকাটির নাম রাখা হয় ‘নবযুগ’। নবযুগ পত্রিকায় নজরুল আগুনঝরা সব সম্পাদকীয় লিখে ব্রিটিশ সরকারের কোপানলে পড়েন। জোরালো লেখার গুণে প্রথম দিনেই কাগজটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

নবযুগে গরম লেখার কারণে তিনবার সরকার তাদের সতর্ক করেছিল। প্রথম সতর্ক করেছিল ‘মুজাহিরীন হত্যার জন্য দায়ী কে’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধের জন্য। প্রবন্ধটি বলাই বাহুল্য নজরুল ইসলামের লেখা। তবে খিলাফত কমিটির একটি ইশতিহার ছাপানোকে কেন্দ্র করে জামিনের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। যদিও ইশতেহারটি ‘বসুমতি’সহ অন্যান্য পত্রিকায় ছাপানো হয়েছিল। কিন্তু জামানতের টাকা কেড়ে নেওয়া হয় নবযুগের। ক্ষোভটা যে অন্যখানে বলাই বাহুল্য (১৯২০ সালে ভারতবর্ষের একটা আন্দোলন হয়েছিল, যার নাম হিজরত আন্দোলন। এই আন্দোলনের ফলে ১৮ হাজার কিংবা তারও বেশি মুসলমান ভারত ছেড়ে আফগানিস্তান চলে গিয়েছিল। যাওয়ার পথে ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে যে হত্যাকা- ঘটে, তাকে মুজাহেরিন হত্যাকা- বলা হয়)। যেদিন সকালে পত্রিকার হাজার টাকা জামিন বাজেয়াপ্ত হওয়ার খবর এলো, তখন তারা ভেবেছিলেন বিকেলে হয়তো পত্রিকা বের করতে দেওয়া হবে। কিন্তু তা হলো না। এরপর নানা কাঠখড় পুড়িয়ে নবযুগ ফের বের হলেও কিছুদিন পরে নজরুল সেখান থেকে চলে গেলেন। 

এরপর নজরুলের ইচ্ছা হলো একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করার। শুষ্ক আচার-অনুষ্ঠানের বেড়াজাল ভেঙে নতুন চেতনায় সঞ্জীবিত করে তোলার জন্য তিনি তার সাপ্তাহিক ‘ধূমকেতু’ প্রকাশের উদ্যোগ নিলেন। তাকে তখন সহযোগিতা করেছিলেন দেওবন্দ মাদ্রাসার ছাত্র হাফিজ মাসউদ আহমদ। মাত্র আড়াইশ টাকা দিয়ে ‘ধূমকেতু’ প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ধূমকেতু শিক্ষিত মধ্যবিত্তের মাঝে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর নাম দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বপ্রথম ‘ধূমকেতু’ ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা চায়। সেখানে নজরুল লেখেন, “স্বরাজটরাজ বুঝি না। কেননা এ কথাটার মানে এক এক মহারথী এক এক রকম করে থাকেন। ভারতবর্ষের এক পরমাণু অংশ বিদেশিদের অধীনে থাকবে না। প্রার্থনা বা আবেদন-নিবেদন করলে তারা শুনবে না, আমাদের এই প্রার্থনা ভিক্ষা করার কুবুদ্ধিটুকুকে দূর করতে হবে। এ কথা পরিষ্কার যে, শুধু স্বাধীনতা নয়, দরকার ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’। আর আবেদন-নিবেদনে এই পূর্ণ স্বাধীনতা মোটেই সম্ভব নয়।”

সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী আন্দোলনের নেতা এবং কংগ্রেসেরও নেতা ভূপতি মজুমদার ধূমকেতুকে সাহায্য করতেন নানাভাবে। তবে পুলিশের নজর ছিল ধূমকেতুর দিকে। ওই অফিসে কারা যাওয়া-আসা করেন, ধূমকেতুর পেছনে কোনো সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী পার্টি গড়ে উঠছে কি নাÑএসব জানার জন্যই ধূমকেতু এত যে জোরালোভাবে লিখছিল, কিন্তু পুলিশ কিছু বলছিল না। কিন্তু পুলিশকে বাদ দিয়েও বঙ্গীয় প্রাদেশিক গভর্নমেন্টের হোম ডিপার্টমেন্ট ছিল। গভর্নমেন্টের বাংলা অনুবাদকের অফিসে নজরুলের লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ করে হোম ডিপার্টমেন্টের পলিটিক্যাল সেকশনের অফিসারদের টেবিলে চলে যেত। লেখাগুলো পড়ে ভারতীয় দ-বিধি আইনের ১২৪-এর ধারা অনুসারে মোকদ্দমা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বের হলো সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম ও প্রকাশক আফজালুল হক সাহেবের বিরুদ্ধে। প্রকাশক আফজালুল হক যখন পুলিশের হাতে বন্দি হন তখন নজরুল কুমিল্লায় ছিলেন। পরবর্তী সময়ে রাজনীতিবিমুখ আফজালুল হক সাহেবের মুক্তি দিতেই নজরুল পুলিশের কাছে ধরা দেন। বিচারের রায়ে ভারতীয় দ-বিধি ১২৪-এ ধারা অনুযায়ী নজরুল এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে হলেন। 

পত্রিকা সম্পাদনা ও জীবন সংগ্রামের মধ্যে টিকে থাকতে নজরুল ইসলামকে তার লেখার স্বত্বও বেশ কয়েকবার বিক্রি করতে হয়েছে। লেখার স্বত্ব বিক্রি কবি নজরুলের জীবনের এক বেদনাদায়ক ব্যাপার, যা জীবনের শেষ পর্যায়ে গিয়ে অভিশাপের পর্যায়ে পৌঁছেছিল। তবে শুরুতে তিনি এ বিষয়গুলো তেমন গুরুত্ব দেননি। যে লেখাগুলো পসরা করে তিনি প্রথমে হাজির করেছিলেন, সেগুলো পরে ‘ব্যথার দান’ নামে বই আকারে প্রকাশিত হয়। বন্ধু আফজালুল হকের কাছে তিনি এর গ্রন্থস্বত্ব বিক্রি করেন, যিনি ছিলেন মোসলেম পাবলিশিং হাউসের মালিক। তার কাছে ১০০ টাকায় লেখক স্বত্ব বিক্রি করে দেন নজরুল। পরে ‘ব্যথার দান’ এর পা-ুলিপি প্রেসে কম্পোজ হওয়ার পরে দেখা গেল যে পাইকা টাইপে মাত্র ৬০ পৃষ্ঠা হয়েছে, এত ছোট গল্পের বই বের করা যায় না, তাই কবি ‘বাদল বরিষণে’ লিখে দিলেন। তারপর ২৮ পৃষ্ঠার গল্প ‘রাজবন্দির চিঠি’। বইটিতে আরো দেখা যায় ‘হেনা’ ‘ব্যথার দান’ ‘অতৃপ্ত কামনা’ ‘ঘুমের ঘোরে’ একত্র করে ৭৯০ পৃষ্ঠা হয়। কিন্তু বইটার কোনো কপিরাইট তিনি নিজের নামে রাখেননি। ১৯২২ সালে প্রকাশিত তার প্রথম বই প্রকাশিত হয়, যার কোনো স্বত্ব তার ছিল না। 

তার আরেকটি বই ‘অগ্নিবীণা’র স্বত্বও তিনি ডিএম লাইব্রেরির কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। অথচ তার সংসার চলত রয়ালটির টাকায়। তার ‘বিষের বাঁশি’ ও ‘ভাঙার গান’ বই দুটি বঙ্গীয় সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল। এই দুটি বইও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। নিষিদ্ধ জিনিসের জন্য মানুষের একটা অদ্ভুত আকর্ষণ থাকে। সবাই ঘুরে ঘুরে এই দুটি বই খোঁজ করতেন তখন। ১৯৩১ সালের শেষভাগে নজরুলের শাশুড়ি শ্রীযুক্তা গিরিবালা দেবী কমরেড মুজাফ্্ফর আহমদকে জানিয়েছিলেন, অনেক দিন ডিএম লাইবেরির সঙ্গে নজরুলের হিসাব হচ্ছিল না। ডিএম লাইব্রেরির নাকি হিসাবের আগ্রহ ছিল না। এই কথা নজরুল তার বন্ধু বিখ্যাত সলিসিটর শ্রী নির্মল চন্দ্রকে জানালে তিনি তার অফিস থেকে একটি চিঠি পাঠান। এরপর নজরুলের হিসাব-কিতাব নাকি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় যে ২০০০ টাকায় ‘অগ্নিবীণা’ তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। এবং সেই টাকায় গাড়ি কিনেছিলেন। নজরুল ভেবেছিলেন হিসাব-কিতাব করে কিছু টাকা পেয়ে যাবেন, কিছু টাকা হয়তো পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি চিরতরে হারিয়ে ফেললেন তার ‘অগ্নিবীণা’র স্বত্ব। যার প্রথম সংস্করণ কার্তিক তেরোশ উনত্রিশে বিক্রি হয়েছিল দুই হাজার কপি। এটা ১৮ সংস্করণেরও বেশি পর্যন্ত নজরুলের জীবদ্দশায় হতে দেখা গেছে। 

শুধু স্বত্ব বিক্রি নয়, অন্য কারণেও নজরুলের কিছু কিছু লেখার, বিশেষ করে তার গানগুলো প্রচারে বাধা পেয়েছে। এটি বুঝতে কোনো অসুবিধা ছিল না যে ১৯৩৯ সালে এসে দারুণ অর্থকষ্টে পড়েছিলেন তিনি। এই সময়ে তিনি কয়েকবারে কলকাতার নামজাদা সলিসিটর অসীম কৃষ্ণ দত্তের কাছ থেকে চার হাজার টাকা ধার নেন। এই ধার পেয়ে নজরুলের নিশ্চয়ই উপকার হয়েছিল। তিনি ছোট ছোট পাওনাদারদের টাকা হয়তো শোধ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু শ্রী দত্ত বিনাশর্তে নজরুলকে টাকা ধার দেননি। ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট তারিখে গ্রামোফোন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে নজরুল ইসলামের সঙ্গে একটা লিখিত কন্ট্রাক্ট হয়েছিল। হিজ মাস্টার ভয়েস এর রেকর্ডে নজরুল রচিত যে গান উঠবে তার খুচরা বিক্রয়ের ওপরে শতকরা পাঁচ টাকা হিসেবে রয়ালটি পাবে। কিন্তু শ্রী দত্তের সঙ্গে নজরুলের যে দলিল সম্পাদিত হয়েছিল তাতে তাকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল যে সুদে-আসলে তার সব টাকা শোধ না হওয়া পর্যন্ত গ্রামোফোন কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে নজরুলের পাওনা টাকা সোজাসুজি তিনি নেবেন। দলিলে শুধু এই একটি শর্তই নয়, নজরুলের ৩৭টি বইও এই ঋণের জন্য শ্রী অসীমকৃষ্ণ দত্ত বন্ধক রেখেছিলেন। 

এই কারণে নজরুলের বহুসংখ্যক গান লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেছে। এমন বহু গান নজরুলের ছিল, যেগুলো কখনো বইয়ে ছাপা হয়নি, ছাপা হয়েছিল শুধু গ্রামোফোন কোম্পানির রেকর্ডগুলোতে, যা এখন আর পাওয়া যায় না। শ্রী দত্তের সঙ্গে দলিল সম্পাদনের কিছুদিন পর নজরুল কঠোর মস্তিষ্কের রোগে আক্রান্ত হন। তিনি জ্ঞান হারিয়েছেন, কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন। ফলে দেশের লোকেরা জানতে পারেনি নজরুলের চার হাজার টাকার সেই দেনা শোধ হয়েছিল, কি হয়নি! ১৯৩০-এর দশকে নজরুল ইসলাম তার জীবনে সবচেয়ে বেশি টাকা রোজগার করেছেন। আবার এই দশকে তিনি তার পুস্তকের স্বত্ব বিক্রি করেছেন সবচেয়ে বেশি, আবার এই দশকের শেষের দিকে অসীম দত্তের কাছ থেকে কঠোর শর্তে ঋণ গ্রহণ করেছেন। শ্রী অসীম দত্তের মুখে শুনেছেন এমন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বলেছেন, নজরুল ইসলাম অসীম দত্তের ঋণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু আমৃত্যু তিনি গ্রন্থস্বত্বগুলো হারিয়ে দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হয়েছেন।

তথ্যসূত্র 
১. ইংরেজ শাসনে বাজেয়াপ্ত বই : সম্পাদনা : বিষ্ণু বসু, অশোক কুমার মিত্র, এশিয়া পাবলিশিং কোম্পানি, কলকাতা, ১৯৯৭।
২. কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতিকথা : মুজফ্‌ফর আহমদ, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রা. লিমিটেড, দিল্লি, ১৯৬৫।
৩. নিষিদ্ধ নজরুল : শিশির কর, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৮৭।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫