Logo
×

Follow Us

প্রচ্ছদ প্রতিবেদন

দুর্গম পাহাড়ে তারা জীবন রক্ষার জল পৌঁছে দেন

Icon

ইশতিয়াক হাসান

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১২:৪০

দুর্গম পাহাড়ে তারা জীবন রক্ষার জল পৌঁছে দেন

‘পাহাড়ে পানির সমস্যার কথা জানতাম আগে থেকেই। বিশেষ করে গরমের মৌসুমে সেখানে পরিস্থিতি যে কতটা জটিল হয়ে ওঠে, সে সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা ছিল। এর মধ্যে ২০১৭ সালে রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে পাহাড়ধসের সময় সেখানে গিয়ে পরিচয় একজন চাকমার সঙ্গে। তিনি বলেছিলেন, তাদের পাড়ার মানুষের পানি নিয়ে খুব কষ্ট করতে হয়। কলসি হাতে পাহাড় বেয়ে অনেকটা নিচে নামতে হয় পানি সংগ্রহের জন্য। কখনো কখনো গর্ত খুঁড়ে বের করতে হয় ঝিরির জল। সেই আলাপটি আমাকে খুব নাড়া দিয়েছিল। তবে তাদের জন্য কিছু করার সুযোগ আসে অনেক পরে-২০২১ সালে। জায়গাটিও অনেকের চেনা। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার পথেই পড়ে সে পাড়া।’

টানা অনেক কথার ভেতর হঠাৎ থেমে গেলেন সাইফুল্লাহ মিঠু। যেন মনে মনে ফিরে গেলেন সেই পাহাড়ঘেরা দিনে।

চারপাশে পাহাড়ের ঢেউ। এক পাড়ার পর আরেক পাড়ায় গাছপালা আর নানা ধরনের বাগান ও জুমের ভাঁজে হারিয়ে থাকা জীবন। সেই জীবনের ভেতর সবচেয়ে জরুরি দরকার-পানির জোগান। এ সমস্যার সমাধানে কাজ করে আসছে ‘গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ নামের একটি অলাভজনক সংস্থা। সাইফুল্লাহ মিঠু এই সংস্থার পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট।

তাদের কাজ শুধু পাহাড়ে সীমাবদ্ধ নয়, নানা জনসেবামূলক কাজে জড়িত তারা। তবে আজকের গল্প শুধু পাহাড়ের পাড়াগুলোতে তাদের ‘জীবনের জল’ পৌঁছে দেওয়ার লড়াই নিয়ে।

মূল গল্পে যাওয়ার আগে সংস্থাটি সম্পর্কে দু-চার কথা বলতে হয়। ২০১২ সালের শীতে একটি সংগঠনের হয়ে সাইফুল্লাহ মিঠু কুড়িগ্রামে কম্বল বিতরণের সময় আবিষ্কার করেন-একাধিক সংস্থা এক এলাকাতেই সাহায্য নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে, অথচ অনেক গ্রাম পড়ে থাকছে একেবারেই উপেক্ষিত। তখনই তার মনে হয়, এমন একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন দরকার, যারা শুধু সেবা দেবে না, বরং এক ধরনের সমন্বয়ের কাজও করবে।

এরই ফলাফল হিসেবে ২০১৩ সালে নুহীন খানসহ গড়ে তোলেন ‘প্রজেক্ট কম্বল’। পরবর্তী সময়ে কাজের ক্ষেত্র বিস্তৃত করে এই উদ্যোগ ২০১৮ সালে ‘গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। নুহীন খান বর্তমানে সংস্থাটির পরিচালক ও ভাইস প্রেসিডেন্ট। সংস্থাটির অর্থায়ন হয় ফাউন্ডেশনের দাতা, শুভাকাঙ্খী ও পৃষ্ঠপোষক সংস্থাগুলোর মাধ্যেমে।

‘প্রজেক্ট কম্বল’-এর হাত ধরে শুরু, এরপর একে একে তারা কাজ করেন কৃষক সহায়তা, বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা, যৌনকর্মীদের সন্তানদের মূলধারায় একীভূতকরণ, সুন্দরবনের ‘বাঘ বিধবা’দের পাশে দাঁড়ানোসহ নানা মানবিক উদ্যোগে। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ফেনী এলাকায় তারা শুধু ত্রাণসামগ্রীই পৌঁছে দেননি, বরং পুরো বিতরণ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সংস্থার মাঝে সমন্বয়ের দায়িত্বটিও নিজেরা কাঁধে তুলে নিয়েছেন।

পানির টানে ‘প্রজেক্ট অম্বু’

পাহাড়ি মানুষের পানির তীব্র সংকট নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই কাজ করছে গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। তাদের একটি বিশেষ প্রকল্পের নাম ‘প্রজেক্ট অম্বু’। কক্সবাজারের রামু আর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে কাজ করতে গিয়ে পাহাড়ের গ্রীষ্মকালের শুকনো মৌসুমে পানির সংকট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় সংস্থাটিকে। 

আবার গল্পে ফিরে গেলেন সাইফুল্লাহ মিঠু। ‘ওটা ছিল মার্চ মাস। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ১০ নম্বর বাঘাইহাট পাড়া ছিল আমাদের গন্তব্য। গিয়ে দেখি, জায়গাটা পাহাড়ের মাথায়। আর পানির উৎস সেই নিচে, এক ঝিরি। গরমের মৌসুমে সে ঝিরিতে পানি থাকে একেবারেই কম।’

তারপর কী করলেন?

‘ওটাই ছিল পাহাড়ে আমাদের প্রথম পানি প্রকল্প’, একটু গর্ব মেশানো কণ্ঠে বললেন মিঠু। ‘চিন্তা করলাম, একটা রিজার্ভার বানিয়ে দিলে ঝিরির পানি ওখানে জমা থাকবে। বৃষ্টির পানি হোক বা রাতভর পাহাড় বেয়ে গড়িয়ে আসা ধারা, সেটা দিনের বেলায় পাড়ার মানুষ সহজে সংগ্রহ করতে পারবে।’

সংস্থাটি তৈরি করে দেয় সেই রিজার্ভার। যার কল্যাণে উপকার পান প্রায় ৪০০ মানুষ। পাহাড়চূড়ার এক পাড়ার জীবনে এসে পৌঁছায় টলমলে জল।

এক পাহাড় পেরিয়ে আরেকটিতে

২০২১ সালের নভেম্বরে গিভ বাংলাদেশ আবার আরেকটি পাহাড়ি পাড়ায় পানির সংকট দূর করতে নেমে পড়ে। এবার খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার উগলছড়ি পাড়া।

‘আমরা সাধারণত প্রথমে একটা ছোট দল পাঠাই। তারা পাড়ার অবস্থা দেখে, জরিপ করে। তারপর পুরো যন্ত্রপাতি ও শ্রমিক নিয়ে মূল দল যায় কাজ করতে, উগলছড়িতে যাওয়ার সময়ও তেমনই গিয়েছিলাম।’ বললেন মিঠু। 

ওটা ছিল একটি মারমাপাড়া। তাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় পথপ্রদর্শক মং মারমা। তবে পাড়ায় গিয়ে দেখা গেল, আশপাশে কোনো ঝিরিই নেই। ফলে আগের পদ্ধতিতে রিজার্ভার বসানোর সুযোগ নেই।

তখন সিদ্ধান্ত হয়, ডিপ টিউবওয়েল বা গভীর নলকূপ বসানো হবে। কিন্তু তাও সহজ নয়। পাহাড়ের মাটির নিচে পানির স্তর অনেক নিচে। বহু পরিশ্রমে ৩৮০ ফুট গভীর করে তবেই বসানো হয় সেই টিউবওয়েল।

পরের বছর, ২০২২ সালে খাগড়াছড়ির গুইমারা ও লক্ষ্মীছড়ার দুটি পাড়ায় বসানো হয় চারটি রিজার্ভার। ধারণক্ষমতা এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ লিটার। কাজগুলো শেষ হয় মে-জুন মাসে।

রেংহিনপাড়া, এক হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতার এক স্বপ্নযাত্রা

২০২৩ সালে এক সাহসী, চ্যালেঞ্জিং কাজ হাতে নেয় গিভ বাংলাদেশ টিম। গন্তব্য পার্বত্য চট্টগ্রামের আরেক জেলা বান্দরবান।

প্রথম যে দলটি পাড়াটির খোঁজখবর নিতে গিয়েছিল, তাতে ছিলেন সাইফুল্লাহ মিঠুও। বললেন, ‘প্রায় এক হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় পাড়াটা। সংগঠনের সদস্য ও থানচির বাসিন্দা ঝন্টুর মাধ্যমে পাড়ার খোঁজ পাই। জায়গাটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ কাছেই একটা স্কুল আর হোস্টেল আছে, যেখানে থাকে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী। সবাই এসেছে আশপাশের আরো দুর্গম পাড়া থেকে।’

পাহাড়ি গাছগাছালির ফাঁকে পথ যখন একসময় চূড়ায় পৌঁছায়, প্রথমেই চোখে পড়ে স্কুলটি। কিছুটা এগোলেই পাড়া। প্রকৃতির গায়ে আঁকা এক নিঃশব্দ আঁচড়। পানি সংগ্রহের উৎস পাড়ার চেয়েও অনেক উঁচুতে, এক ঝরনার ধারে। তিন দিন ছিলেন তারা সেখানে।

মিঠু বললেন, ‘পাড়ার হেডম্যানের সঙ্গে কথা বলে পুরো অবস্থা বুঝে নিলাম। পানি নেই, টয়লেট নেই, পাড়া বা স্কুল কোথাও না। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, ঝরনা থেকে পাইপ টেনে পানি আনা হবে। বসানো হবে পানির ট্যাংকি।’

দুই সপ্তাহ পর একটি দল আবার রওনা দেয়। সঙ্গে সিমেন্ট, পাইপ, পানির ট্যাংকি, শ্রমিক আর নানা যন্ত্রপাতি। শুরু হয় স্বপ্নের কাজ। পাহাড়ের চূড়ার ওপর ঝরনা থেকে স্কুল ও পাড়ায় পানি টানতে লাগে প্রায় তিন হাজার ফুট পাইপ! বসানো হয় তিনটি ট্যাংকি। বাথরুম বানানো হয়, বসানো হয় কল। ঝরনার কাছে বসানো হয় ফিল্টার সিস্টেম, পানিকে আরো পরিশোধিত করার জন্য। তবে পাহাড়ের এই বিশাল প্রকল্প খুব একটা সহজ ছিল না।

‘ওখানে খাবার পাওয়া ছিল চ্যালেঞ্জিং’, বলেন মিঠু। ‘দলের সদস্য আর শ্রমিকদের অনেক সময় শুধু ডিম খেয়ে থাকতে হয়েছে। কখনো জুমের সবজি জুটেছে, আর বান্দরবান থেকে কেউ গেলে সঙ্গে মুরগি নিয়ে যেত। এতসব কষ্টের পরও যখন কাজ শেষের দিকে, তখন পাড়ার মানুষের অভ্যর্থনায় সব ক্লান্তি উবে গেল। আমাদের উপহার হিসেবে একটা ছাগল দেওয়া হলো। সেটাই রান্না করে সবাই মিলে খেলাম। মনটা একেবারে ভরে গিয়েছিল।’

পানিসংকটের কঠিন বাস্তবতা

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে মে-এই শুকনা মৌসুমে পানির প্রবাহ কমে যায় নদী-ঝরনায়। এতে তীব্র পানির সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থাকে আরো ভয়াবহ করে তোলে নির্বিচারে গাছ কাটা ও পাথর তোলা। ঝিরি আর ঝরনাগুলো হারাচ্ছে তাদের জলধারণ ও প্রাকৃতিক ফিল্টারিং ক্ষমতা।

গ্রীষ্মকালে অনেক পাড়ায় ঝিরি একেবারেই শুকিয়ে যায়। একজন মানুষকে দিনে একাধিকবার পাহাড় বেয়ে পানি আনতে হয়। নিচের ঝিরি থেকে পানির জন্য পাহাড়ের খাড়া পথ পেরোতে সময় লাগে ঘণ্টার ওপর।

নীতিনির্ধারণ ও সম্প্রসারণ

গিভ বাংলাদেশের সব কাজ পরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করা হয় দুই স্তরের নীতিনির্ধারণী কমিটির তত্ত্বাবধানে। একটি হলো গভর্নিং বোর্ড, অন্যটি এক্সিকিউটিভ কমিটি। এ ছাড়া দূরবর্তী ও দুর্গম এলাকায় কাজ করতে গেলে স্থানীয় এনজিও বা বিভিন্ন সংগঠনগুলোর সহায়তা নেওয়া হয়।

২০২৩ সালের জুলাইয়ে তারা আরো একটি সফল প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার কমলছড়ি ইউনিয়নের ৪ নম্বর নতুন পাড়ায়। সেখানে বসানো হয় সাবমার্সিবল পাম্প। পানির অভাব দূর হয় আরো একটি পাহাড়ি পাড়ায়।

টুকটাং : পানির খোঁজে পাহাড়ি গান

২০২৫ সালের শুরুতেই গিভ বাংলাদেশের প্রথম অভিযান হয় বান্দরবানের থানচি উপজেলার এক পাহাড়ি পাড়ায়, নাম তার টুকটাং পাড়া। একটা স্কুলও আছে এখানে। ঝিরির জল থেকে পাইপ টেনে আনা হয় পাহাড় চূড়ায়। বসানো হয় রিজার্ভার। বছরের শুরুতেই পানির অভাব ঘুচে যায় এই পাড়ার মানুষের।

জানালেন ঝন্টু কর্মকার, ‘আমরা পানির লাইন পুরো পাড়া পর্যন্ত নিতে পারিনি ঠিকই, তবে পাড়ার কাছাকাছি নিয়ে গেছি। সেখানে বসানো হয়েছে রিজার্ভার।’

ওয়াকচাকু : ঝরনা থেকে প্রাণের টান

এ বছরের বর্ষায়, অর্থাৎ এই জুলাই মাসেই, গিভ বাংলাদেশের আরেকটি সফল প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে থানচিরই ওয়াকচাকু পাড়ায়। তমাতুঙ্গি যাওয়ার পথে মূল সড়কের পাশেই পাহাড়ের গায়ে গড়ে ওঠা এই পাড়ায় আগে প্রতিদিনই মানুষকে হাঁটতে হতো অনেকটা দূর, শুধু এক কলসি পানির জন্য। বিশেষ করে গরমের সময় পানির সংকট হয়ে দাঁড়াত জীবন-মরণ প্রশ্নে।

সংস্থাটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আহমেদ ফাহমি জানান, প্রতি বছর এখানে ১২ থেকে ১৫ জন পানিবাহিত রোগে (ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি) আক্রান্ত হন। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।

এখানে একটি আবাসিক স্কুলও আছে, যেখানে ১৩৪ জন শিশু থাকে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ম্রো, ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে এই স্কুলে নতুন ছাত্র ভর্তি করানোও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছিল।

ওয়াকচাকু পাড়ায় বসানো হয় একটি রিজার্ভার, পাম্প ও প্রাকৃতিক ফিল্টার। ঝরনার পানি আসছে পাইপে, জমছে সংরক্ষণ ট্যাংকে। এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড।

যেখানে পাহাড়ে পানি নেই, সেখানে পৌঁছে দেয় হৃদয়

গিভ বাংলাদেশ তাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চায় আরো বহু দুর্গম পাহাড়ের কোণে। একের পর এক পাড়ায় পানি পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিকল্পনা আরো বড়।

২০২৬ সালের মধ্যে তিন পার্বত্য জেলায় অন্তত পাঁচ হাজার মানুষকে নিরাপদ পানির আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে সংস্থাটি। শুধু কাজ নয়, তারা চায় এই পানিসংকট নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী আলোচনাও হোক, যাতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এই সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সম্ভব হয়।

পাহাড়ে পানির সংকট নিছক একটি মৌসুমি সমস্যা নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক বন ধ্বংস, নির্বিচার পাথর উত্তোলনসহ মানুষের নানা কর্মকাণ্ডেরও একটি দগদগে চিত্র। তবুও আশার কথা, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি, দেশের তরুণ উদ্যোক্তা, স্বেচ্ছাসেবী আর সাধারণ মানুষের হাত ধরে বদলে যেতে পারে বাস্তবতা। হয়তো সেই দিন খুব দূরে নয়, যখন কোনো পাহাড়ি শিশুর চোখে আর থাকবে না পানির জন্য অশ্রু, বরং থাকবে একটি মুক্ত হাসি, জীবনের জয়গান।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫