-63f2e98021ffd-63fadef685f4c-6401857b1c919.jpg)
দিন দিন রাজধানীতে বাড়ছে বায়ুদূষণ। ছবি: সংগৃহীত
কয়েক দিন পরপরই বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার এক নম্বরে উঠে আসছে রাজধানী ঢাকা। শহরের বাতাসের মান খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই)। ছয় ধরনের পদার্থ ও গ্যাসের কারণে ঢাকায় দূষণের মাত্রা সম্প্রতি অনেক বেড়ে গেছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীসহ সবার মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। আর বায়ুদূষণের প্রথম প্রভাব পড়ে শ্বাসযন্ত্রের ওপর। বিশ্বব্যাপী যেসব অসংক্রামক রোগে মানুষের সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে, তার অধিকাংশই বায়ুদূষণজনিত। সর্দি, জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি, অ্যাজমার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে দূষিত বাতাসের কারণে।
এতে ফুসফুসের ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। পাশাপাশি বায়ুদূষণে নাজেহাল হচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্য, ভ্যানগাড়ি, রিকশাচালকসহ গণপরিবহনের চালক ও যাত্রীরা।
সম্প্রতি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত এক জরিপে জানা গেছে, দেশের ১৮টি জেলার বায়ু আদর্শ মানের চেয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ পরিমাপ করা হয়েছে গাজীপুরে, এর পরই রয়েছে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ।
ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশে যেন বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে ২০২০ সালে বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ঢাকায় বায়ুদূষণ রোধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যয়ের কোনো কমতি নেই। তারপরও বাতাসের মান সুরক্ষায় কোনো ফল মিলছে না।
তবে দূষণ কেন কমছে না সে বিষয়ে সদুত্তর নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে। বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সবাইকে অবহিত এবং সচেতন করে তুলতে হবে। বায়ুদূষণের বিপর্যয় থেকে বাঁচতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ গবেষণা, পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের প্রয়োজন। বায়ুদূষণ কমাতে আমাদের প্রত্যেকের সচেতন হতে হবে। বায়ুদূষণের লাগাম টেনে না ধরলে অদূর ভবিষ্যতে সবার জন্য ভয়াবহ অবস্থা অপেক্ষা করছে।