
শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি
দেশে শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টায় অনেকখানি সফল হয়েছে সরকার। প্রতিটি ঘরে এখন আলোকিত মানুষ। একটি বিষয় খুবই জটিল হয়ে পড়েছে, সেটা হলো একই বিদ্যালয় বা কলেজে পুনরায় ভর্তি হওয়া।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বইও সরকার বিনামূল্যে বিতরণ করে থাকে। বহুবিধ সুযোগ-সুবিধা সরকার ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ পুনরায় ভর্তি ফি ধার্য করে সুশিক্ষার পথে এক ধরনের বাধার হৃষ্টি করছে বলে মনে হয়।
বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হওয়ার পরও ভর্তি ফি প্রদান করে নতুন শ্রেণিতে ভর্তি হতে হয়। ভর্তি ফি’র কারণে অনেক ছাত্রছাত্রীর পড়ালেখা মাধ্যমিক বিদ্যালয় শাখা থেকেই ঝরে পড়ে, যা একদমই কাম্য নয়। এমনিতেই দেশে কিশোর অপরাধ, কিশোর গ্যাং ইত্যাদিসহ তরুণ প্রজন্মের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তার ওপর উচ্চমাধ্যমিক থেকেই যদি অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সমাজে এর বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তাই বছরে ভর্তি ফি আরও অনেক কমানো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত তদারকিসহ উপবৃত্তি নিশ্চিতকরণে শিক্ষাবোর্ড তথা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আরমান জিহাদ
কটিয়াদি, কিশোরগঞ্জ