Logo
×

Follow Us

চিঠি

কারা দিচ্ছে গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা?

Icon

শামীমা সুলতানা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০৬

কারা দিচ্ছে গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা?

কমিউনিটি ক্লিনিক। ছবি: সংগৃহীত

কমিউনিটি ক্লিনিক এবং উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার অন্যতম হাতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পটি গ্রহণ করেন এবং প্রায় দশ হাজার ক্লিনিক স্থাপন করেছিলেন।

বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় ১৮ হাজার ৫শ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে একজন করে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থাকার কথা। কিন্তু গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে উল্লেখযোগ্য কোনো নিয়োগই হয়নি সরকারের এই পদে। 

তাহলে কারা দিচ্ছে গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা? কেই বা রোগ নির্ণয় করছেন? আসলে এসবের উত্তর দেওয়ার কেউ নেই। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। যেখানে সাধারণ নিত্য-প্রয়োজনীয় ওষুধের সঙ্গে আছে অ্যান্টিবায়োটিকও। অনেক সময় এসব অ্যান্টিবায়োটিক সিএইচসিপি দের মাধ্যমে দেওয়া হয়, যা মানুষদের আরও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে এসব ওষুধ দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সামান্য সমস্যায়ও এই ডিজিটাল যুগে যেতে হয় জেলা সদর হাসপাতাল অথবা উপজেলা হাসপাতালে। তাহলে এস.ডি.জি এর ৩ নাম্বার টার্গেট কীভাবে পূরণ হবে? যদি সামান্য স্বাস্থ্য সমস্যায় গ্রাম থেকে যেতে হয় জেলা সদর হাসপাতালে। আর এত কমিউনিটি ক্লিনিক করেই বা কী লাভ, যদি এর অন্যতম পদ (উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) ফাঁকা থাকে।

মূলত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়োগ হয় মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের। কিন্তু নিয়োগ না থাকায় এসব মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্টরা পরিবারের বোঝা হচ্ছে এবং তাদের দক্ষতাকেও তেমন কাজে লাগাতে পারছেনা। অন্যদিকে গ্রামীণ মানুষও পাচ্ছেনা তেমন সুচিকিৎসা।

কর্তৃপক্ষকে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নজর দেওয়া জরুরি। কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করলে যেমন বেকারত্ব হ্রাস পাবে তেমনি গ্রামীণ মানুষদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫