Logo
×

Follow Us

চিঠি

পাহাড় নিধন বন্ধ হোক

Icon

এম এইচ হাসান

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:২৩

পাহাড় নিধন বন্ধ হোক

প্রায়শই আমরা দেখে থাকি দেশজুড়ে চলে পাহাড় নিধনের মহোৎসব। পাহাড় নিধন বা বনাঞ্চল ধ্বংস করা যেন নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে। পাহাড়কে বলা হয় পৃথিবীর লৌহ দণ্ড। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের অবদান অপরিসীম। পাহাড়ের তলদেশ থেকে চূড়া পর্যন্ত পুরোটাই স্রষ্টার নিপুণ হাতে সৃষ্টি। এতে থাকা গাছপালা, গুল্ম, উদ্ভিদ মাটি, পাথর সবকিছুই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি। 

পাহাড় মাটির ক্ষয়রোধ করে ও মাটিকে মজবুত করে। তথ্য মতে, দেশে পাহাড়ের আয়তন প্রায় ১৩ লক্ষ হাজার হেক্টর। যা দেশের মোট আয়তনের ৯.৩৩ ভাগ। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বর্তমানে পাহাড় নিধনের মহড়া দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনোভাবেই যেন তা দমানো যাচ্ছে না। 

পত্র-পত্রিকার তথ্যানুযায়ী, গত চার দশকে শুধু চট্টগ্রাম মহানগরীতেই ১২০টি পাহাড় বিলুপ্ত হয়েছে। পাহাড় নিধনের ফলে জীববৈচিত্রও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কাটা বা মোচন করা যাবে না। তবে জাতীয় স্বার্থে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে পাহাড় বা টিলা মোচন করা যাবে। 

শুধু তাই নয় ভূমিখেকোদের থাবায় দানবরূপী মানবের খঞ্জরে বৃক্ষ ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে সুবিশাল পর্বতগুলোকে ন্যাড়া করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমতাবস্থায় সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে পাহাড় নিধন রোধকল্পে উপযোগী আইন প্রণয়ন, আইনের বাস্তবায়ন, পাহাড় নিধনের সাথে সংশ্লিষ্টদের আইনানুগ শাস্তি ও পাহাড় নিধনের কুফল সম্পর্কে জনসাধারণের মাঝে গণসচেতনতা তৈরির বিকল্প নেই।

এম এইচ হাসান

চট্টগ্রাম।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫