দুর্ঘটনা ছোট্ট একটি শব্দ, কিন্তু এর বিভীষিকা ও পরিণাম অনেক বেশি। একেকটি দূর্ঘটনা কেড়ে নেয় হাজারো জীবন, বেঁচে থাকার স্বপ্ন। আর এসব দুর্ঘটনায় ধ্বংস হয়ে যায় অনেক অমূল্য জীবন, হাজারো সম্ভাবনা।
বলতে গেলে সড়কে দুর্ঘটনা এখন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে গাড়ি চালানোর সময় কিছু বিষয় মেনে এবং কিছু ক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে চলতে হবে। সিট বেল্ট পরিধান করে ড্রাইভিং করলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো নিরাপদ হবে। আর দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই সিট বেল্ট পড়া দরকার। সিট বেল্ট বাঁধা থাকলে যে কোনো এক্সিডেন্টে বড় ধরণের আঘাত থেকে বেঁচে যাওয়া যায়।
এর পাশাপাশি ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে গাড়ি চালালে আর একটু সতর্ক থাকলেই যে কোন বড় দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া যায়। দূরপাল্লার বাসগুলোতেও নিরাপত্তা জনিত কারণে সিট বেল্ট কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি। দেশে যে হারে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে তা লাঘব করতে চাইলে দেশের সড়ক আইন শতভাগ কার্যকরের যৌক্তিকতাও অত্যাবশ্যক।
দেখা যায়, দূরপাল্লার যাত্রীবাহী যানগুলোর সিংহভাগ সময়ই রাত্রীকালীন চলাচল করে থাকে। আর যাত্রীরাও গাড়িতে ঘুমিয়ে থাকেন এসময়। তাই বেশিরভাগ যাত্রীরই শরীরের উপর থাকে না কোনো নিয়ন্ত্রণ। এমতাবস্থায় যেকোনো গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হলে সিংহভাগ যাত্রীরই পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়। এমতাবস্থায় দূরপাল্লার যাত্রীবাহী গাড়িগুলোতে সিট বেল্ট পরিধান করা বাধ্যতামূলক করার জন্য সরকার এবং সড়ক বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অভিরাজ নাথ
চট্টগ্রাম।