
প্রতিদিন শতশত পথচারী রাস্তার পাশে নির্মাণাধীন উঁচু উঁচু ভবনের নিচ দিয়ে হেঁটে নিজ গন্তব্যে যায়। আবার কেউবা রুটিরুজির তাগিদে, আবার কেউবা বের হয় পরিবারের স্বপ্ন পূরণে। একইসময়ে, নির্মাণ শ্রমিক তাদের নির্ধারিত কাজও চালিয়ে যান আর ঠিক ওই মুহূর্তে অনেকসময় অসাবধানতার জন্য হাতে থেকে ভারী ভারী হাতুড়ি এবং নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত নানান ধরনের ইনস্ট্রোম্যান্ট’স বা নির্মাণসামগ্রী, অনেক সময় পড়ে যায় যা নিচে হাঁটতে থাকা পথচারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
২০১১ সালের ১৬ জুলাই আমার অসুস্থ মাকে হাসপাতালে দেখে ফেরার পথে পান্থপথে শমরিতা হাসপাতালের সামনে একটি নির্মাণাধীন ১৮তলা ভবন থেকে ইট পড়ে মারা যান তেজগাঁও কলেজের ছাত্র হাবিবুর রহমান, যার সাক্ষী আমি নিজেই।
এমন নজির দেশে অহরহ। সুতরাং ঘটছে দুর্ঘটনা, হচ্ছে মৃত্যু। কথায় আছে, একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না। যা, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির জন্য সারা জীবনের কান্না হয়ে দাঁড়ায়। সেই সাথে মৃত্যু হয়, পরিবারটির লালিত স্বপ্নের। এমতাবস্থায় যথাযথ পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করলে এসব দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে আমি মনে করি।
ছাদেক হোছাইন
শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।