
পেঁয়াজ। ফাইল ছবি
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেন প্রায় দ্বিগুণ। কেন? এখন তো করোনা মহামারি বা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেরও প্রভাব নেই। এ ছাড়া এখন বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠছে।
গত দু-তিন বছর ধরে দেখা গেছে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় দেশে রাতারাতি দাম বেড়ে যায়। যতবার এর কারণ তদন্ত করা হয়েছে, ততবারই সিন্ডিকেটের কারসাজি ধরা পড়েছে। এবারও তা-ই হয়েছে।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের করুণ অবস্থা। হরতাল-অবরোধের কারণে খেটে খাওয়া ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে। এরই মধ্যে সয়াবিন তেল ও চিনির দাম আবার বেড়েছে। ঢাকায় দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২০০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দামও কমবেশি ১৮০ টাকা। সয়াবিন তেলের দাম লিটারে অন্তত ৪ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজিতে ১৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সব নিত্যপণ্যের দাম যদি আকাশছোঁয়া হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? সংবাদমাধ্যমেও গত কয়েক দিন পেঁয়াজ গুদামজাত করা ও অবৈধভাবে মজুদ করার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ী, আড়তদারদের জরিমানা করার খবর আসছে। তারপরও অবস্থার কোনো হেরফের হয়নি।
তাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, বারবার পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনুন। পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিন।
শাহনাজ শারমিন, মিরপুর, ঢাকা