দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
এক সময়কার ক্ষমতাধর আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন। পতন হয় টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী সরকারের। এরপর ৮ আগস্ট রাতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই মাসের বেশি সময় অতিক্রম করেছে। দুই মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানান কাজ করে যাচ্ছেন তারপরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কিছু প্রত্যাশা তুলে ধরছি।
একটা সরকারের ওপর তখনই মানুষের আস্থা থাকে, যখন তার মৌলিক চাহিদাগুলো ওই সরকার পূরণ করতে পারে। আমরা দেখেছি বিগত সরকারের আমলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ছিল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ছাড়াও নানান অনাস্থার কারণেই সরকারের বিপক্ষে সাধারণ জনগণ অবস্থান নেন। আওয়ামী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের ওপর জনগণ আস্থা রেখেছেন। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে সরকার সেই আস্থাটুকু হারাতে পারেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুই মাস পার করেছে। এর মধ্যে নানান সংস্কার তারা এনেছে। তবে এ ক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দিকেও সরকারের নজর দেওয়া উচিত।
একটা রাষ্ট্রে মানুষ যখন বসবাস করে তখন সে সরকারের কাছে আগে নিরাপত্তা চায়। আমরা বিগত সময় দেখেছি পুলিশ প্রশাসন একটি দলীয় হিসেবে কাজ করেছে। সেই পুলিশ প্রশাসনকে সংস্কার করতে একটু সময় লাগতে পারে। তারপরও এই সংস্কার দ্রুত করতে হবে। গত আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনিতে ৪৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়। (সূত্র : আইন সালিশ কেন্দ্র) কিন্তু প্রশাসন সেই গণপিটুনি ঠেকাতে পারেনি। এ ছাড়াও এখনো পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরেনি।
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) একজন শিক্ষার্থী হিসেবে দেখেছি এই অঞ্চলের বৈষম্য। এ বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট এবং এই বিভাগের বাজেট দেখলে হয়তোবা রীতিমতো হতাশ হবেন। ১৬ বছরের একটি বিশ্ববিদ্যালয় কত জরাজীর্ণ, কত সংকটে পড়ে আছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রথম শহীদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ। দেশ পরিবর্তনে যে আবু সাঈদ ভূমিকা রেখেছে তার অঞ্চল ও তার বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বস্তরে বৈষম্য দূর করুন।
গাজী আজম হোসেন
শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর