
প্রতীকী ছবি
প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ, দেশের এক ক্রান্তিকালে আপনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। তবে বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সাধারণ মানুষ এখনও খুশি হতে পারছি না। আমরা জানি এ ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে।
তবে এর মধ্যেই দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে জনমনে শান্তি নিয়ে আসার জন্য আপনাদেরকে আরও কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। বিগত সময়ের অপরাধীদেরকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থেকে অবশ্যই বের হতে হবে। সর্বত্রই আইনের শাসন কায়েমের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া দরকার। সেই দিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। মানুষের পেট যখন ভরা থাকবে তখন মানুষ অপরাজনীতির চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে দেবে।
আমরা আর দানবের সমাজে বাস করতে চাই না, মানবের সমাজ ফিরে পেতে চাই। কিন্তু এই দানবদের আলোর পথে না আনতে পারলে সমাজ এবং দেশে এদের সংখ্যা এত বাড়তে থাকবে যে, শেষ পর্যন্ত সৎ মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হবে। মাননীয় উপদেষ্টা, বলা হয়ে থাকে শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর শিক্ষক হচ্ছেন সেই জাতির মেরুদণ্ড গড়ার কারিগর। শিক্ষক দিনে দিনে তার মেধা, শিক্ষা, বুদ্ধি দিয়ে তার শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলেন। শুধু গড়ে তুলেই ক্ষান্ত হন না, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়তই অনুপ্রাণিত করেন। এমনকি শ্রেণিতে সব থেকে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেও এই কাজ তাকে করতে হয় প্রায় প্রতিদিনই। কিন্তু মানুষ গড়ার কারিগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই শিক্ষকদের জীবনযাপন করতে বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খেতে হয়। আপনি এক সময় নিজেও শিক্ষক ছিলেন, তাই আপনার কাছে আবেদন, আপনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার ও শিক্ষকদের আর্থিক সচ্ছলতার বিষয়ে দৃষ্টি দেবেন বলে আশা রাখছি। আমরা আপনাদের সময় দিতে চাই, বিশ্বাস করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য উপযুক্ত কাজগুলো করে যাবে। আপনার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি।
বিনীত
সরাজ আহমেদ, সহকারী শিক্ষক