
প্রতীকী ছবি।
যে যার মতো ফাদয়া লুটতে চাইছে। এই বুঝি সুযোগ, আর তো হবে না। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবছেন, দেশকে নিয়ে ভাবছেন। এখন সুযোগ এসেছে সব না হলেও কিছু সংস্কার নিজ হাতে করার। সে অবশ্যই তার শেষ বয়সে এসে দেশের জন্য সর্বোচ্চটি দেওয়ার চেষ্টা করবেন, এটিই আমাদের কামনা।
একটি দেশের উন্নয়নের পুরোটাই নির্ভর করে সেই দেশের জনগণের ওপর। জনগণ তার নিজ অধিকার,সম্পদ,মালিকানা, দেশের জন্য তার দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে যত বেশি সচেতন হবে সেই দেশ তত দ্রুত উন্নতি লাভ করবে।
ভবন,স্থাপনা,কাগজ,কলম কৃত্রিম সকল দ্রব্য সামগ্রী এবং আসবাবপত্র এদের সংস্কারের আগে চাই মানুষের মস্তিষ্কের সংস্কার। গ্রাম ভাষায় একটি কথা আছে আমরা হুজুগে বাঙালি। এই বাঙালিবোধ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
মানুষের মস্তিষ্কের উন্নয়ন মানুষকে সভ্য মানুষ হতে শেখায়। আমরা বাঙালিরা নিজেদের মেধা খাটাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। অন্যের উস্কানিমুলক কথাতে কোকিলের মতো গলা মেলাতে ভালোবাসি। ভালো-মন্দের বিচার করার ক্ষমতা বুঝি আমাদের কম। যে জাতি নিজ দেশের সরকারি সম্পদকে নিজেদের সম্পদ মনে করতে পারে না তারা পিছিয়ে আছেন কয়েক শতাব্দী। সরকারি সম্পদের ক্ষতি সাধন বন্ধ করি। আসুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করার সুযোগ দিই।
দীর্ঘকাল ধরে চলমান অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা হাজারো কালো অধ্যায় ভেদ করে আসতে কয়েক মাস কী যথেষ্ট সময়? একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পেতে ও দিতে আমাদের উচিৎ সবাই একযোগে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সাহায্য করা। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পারে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করে দেশের সেবায় নিয়োজিত করতে।
তাই আমাদের অধৈর্য হলে চলবে না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাড়াহুড়ো দেশটাকে ঠেলে দিতে পারে আরেকটি ভয়ানক অধ্যায়ে। যেখানে সবাই শুনবে মৃত্যুপুরীর গল্প!
তাই আসুন নিজ,পরিবার ও দেশের ভালোটা বুঝতে শিখুন। নদীর স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েন না। দেশটা আপনার, আমার, আমাদের। দেশটাকে পূর্ণাঙ্গভাবে সাজানোর কাজ আমাদেরই করতে হবে।
ইমন হাওলাদার
শিক্ষার্থী
ইতিহাস বিভাগ (২০২০-২১)
ঢাকা কলেজ