
করনোভাইরাস ঠিক কিভাবে ছড়ায় তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও এটা জানা গেছে যে, এই ভাইরাস অন্যান্য ফ্লু-ভাইরাসের মতো ছড়ায়। একে অন্যের যথেষ্ট কাছাকাছি এলেই কেবল এটি দ্বারা সংক্রমিত হওয়া সম্ভব। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের নির্দেশনামাফিক ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির ২ মিটারের মধ্যে থাকাকে কাছাকাছি থাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষকে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু এটি খুব কমসংখ্যক লোককেই মানতে দেখা গেছে। এর মধ্যে অভাবি মানুষ যারা কাজ না করলে একবেলা খাবার জুটবে না এমন মানুষও যেমন রয়েছে, তেমনিভাবে রয়েছে অদৃষ্টবাদীরাও। যেহেতু অফিস-আদালত কল-কারখানা খুলে গেছে, তাই জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে বাধ্য হয়েই ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। এর অর্থ এই নয় যে করোনার প্রকোপ চলে গেছে। তবে মানুষের মন থেকে ভয় চলে গেছে। করোনা নিয়ে মানুষ এখন আর আগের মতো উদ্বিগ্ন নয়।
মানুষের কর্মস্থলে যাতায়াতের মাধ্যম গণপরিবহন। এ গণপরিবহনে যেন গাদাগাদি করে যেতে না হয়, সেজন্য করোনাকালে অর্ধেক আসন খালি রেখে শর্তসাপেক্ষে বর্ধিত ভাড়ায় গণপরিবহন চালু করা হয়। ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি ও শর্তের প্রয়োগ ছিল বেশ ভালোই। এখন আর স্বাস্থ্যবিধি মানার ধার ধারছে না গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা। অনিয়ম করে যাত্রী বেশি নেওয়া হচ্ছে। বর্ধিত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহনের নামে আগের ভাড়ায় ফেরত যাওয়াই সমাধান হতে পারে না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে না। বরং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা বহাল রাখা গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন
পল্লবী, ঢাকা।