Logo
×

Follow Us

চিঠি

এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে

Icon

মো. বোরহান উদ্দিন সরকার

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২১, ১৫:১২

এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে

মো. বোরহান উদ্দিন সরকার

বাংলাদেশের সকল এমপিওভুক্ত এবং ননএমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারি শিক্ষক এবং প্রভাষক নিয়োগ প্রদানের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এবং কিছু অনিয়মের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় চাকুরীপ্রার্থী, শিক্ষক সমাজ এবং সুশীল সমাজ সাধুবাদ জানিয়েছিল। 

এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশ পাওয়া সত্ত্বেও কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের যোগদানে জটিলতা তৈরি করলে সেই সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ায় শিক্ষক সমাজ আশা করছে সুপারিশপ্রাপ্ত নুতন শিক্ষকরা এর সুফল পাবে।  

এনটিআরসিএ তৃতীয়বারের মতো গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এতে বেকার ছাত্র ভাইয়েরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে আবেদন করে। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর বেকার ছাত্র ভাইদের সেই উৎসাহ আর নেই। কারণ, নারী কোঠা ও অন্যান্য সমস্যার কথা বলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্য থাকা সত্ত্বেও এনটিআরসিএ কাউকে সুপারিশ করেনি। শুধু কি তাই, মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে যুক্ত হয়েছে ইনডেক্সধারী শিক্ষক সম্প্রদায়। এতে একদিকে যেমন বেকাররা চাকরি পাচ্ছেন না, অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শূন্য থাকছে। আবার, ইনডেক্সধারীরাও আবেদন করা সত্ত্বেও পাচ্ছেন না পছন্দ মত প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে। 

বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষক সমিতি সারাদেশের শিক্ষকদের উপর জরিপ চালিয়ে দেখেছে- বদলি প্রত্যাশী শিক্ষকরা মন্দের ভালো হিসেবে এনটিআরসিএ এর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও আজ হতাশ। 

ত্রিপক্ষীয় সমস্যার একটাই সমাধান দু'বার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধু ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে। এতে অসম প্রতিযোগিতায় না গিয়ে পূর্বের তুলনায় বেশি সংখ্যক ইনডেক্সধারী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পাবে। এতে বেকার ছাত্র ভাইদেরও সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পদ শূন্য থাকবে না। দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধু চাকরি প্রত্যাশিরাই আবেদন করতে পারবেন। এমন ব্যবস্থা নিলে চাকরি প্রত্যাশি, প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন প্রত্যাশি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সকলেই সুবিধা পাবে এবং এনটিআরসিএরও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে যোগদান থেকে বেতন, যোগদান হয়রানি বন্ধসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়োগ দানের ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। কারণ, সহকারি শিক্ষক থেকে সহকারি প্রধান শিক্ষক আবার সহকারি প্রধান শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। 

অনেকে মনে করছে যে, পূর্বের ন্যায় একটি নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করে একজন সহকারি শিক্ষক সরাসরি সহকারি প্রধান শিক্ষক অথবা প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করার সুযোগ থাকবে। অন্য পন্থা হচ্ছে সরকার এনটিআরসিএ কিংবা কোন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পদোন্নতির মধ্যে দিয়ে এ সমস্যার নিরসন করে শিক্ষদের সন্তুষ্টি অর্জন ও শিক্ষার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

লেখক: প্রধান সমন্বয়ক,
বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষক সমিতি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫