
ছবি: সংগৃহীত
ফার্মাসিস্ট এমন একজন স্বাস্থ্যকর্মী, যিনি রোগীর যত্ন এবং সুস্থতা বাড়ান। ফার্মাকোলজি, ওষুধের ব্যবহার, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ডোজ নির্ধারণ ইত্যাদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখেন ফার্মাসিস্ট।
একজন রোগীর জন্য ওষুধের প্রভাব এবং কখন বা কিভাবে নিতে হবে সে সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এসব প্রশ্নের সবচেয়ে উত্তম উত্তর ফার্মাসিস্টদেরই জানা। রোগীর ওষুধের ডোজ নির্ধারণ করা এবং রোগী ঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ করতে পারছে কি না তা নিশ্চিত করা, ওষুধ যথাযথভাবে কাজ করছে কি না সেটা রক্ষণাবেক্ষণ এবং লক্ষণগুলো বুঝতে সাহায্য করেন একজন ফার্মাসিস্ট। ওষুধে যাতে রোগীর ওপর কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে না পারে সেটাও দেখাশোনা করেন তিনি। প্রেসক্রিপশনের মধ্যে কোনো ভুল আছে কি নেই তাও নিশ্চিত করেন।
সর্বোপরি একজন ডাক্তার ‘মাস্টার্স অফ ডিজেস’ হলে ‘মাস্টার অফ ড্রাগ’ হিসাবে একজন ফার্মাসিস্টকে অবিহিত করা যায়। হসপিটাল ফার্মাসিস্টের অনুপস্থিতিতে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট ও নার্স এই তিনের সমন্বয়ে পরিচালিত করতে হবে চিকিত্সাব্যবস্থা। স্বাস্থ্যসেবার মান পরিবর্তনের ফার্মাসিস্ট নিয়োগ জরুরি।