
মিনিকেট চাল। ছবি: সংগৃহীত
মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম হলো খাদ্য। বাঙালির প্রবাদ বচনে রয়েছে, মাছে-ভাতে বাঙালির কথা। কৃষিপ্রধান এ দেশে চালের উৎপাদনও চাহিদার তুলনায় কম নয়।
বিশ্ববাজারে চালের দামও অন্যসব শর্করা-সমৃদ্ধ খাদ্যপণ্যের চেয়ে অনেক বেশি। তাই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চাল মজুত করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে। এর প্রভাবে খোলাবাজারে বস্তাপ্রতি চালের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ে। এসব অসাধু ব্যবসায়ী যুগের পর যুগ মোটা চাল মেশিনে কেটে চিকন করে মোমের প্রলেপ দিয়ে চকচক করে ‘মিনিকেট’ নাম দিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি হয়ে আসছে।
মিনিকেট নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগ ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারে টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। মিনিকেট চাল বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভেজাল মিনেকেট চাল বিক্রি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিলেও চাল সিন্ডেকেটের অসাধু ব্যবসায়ীদের দমানো যাচ্ছে না কোনোভাবেই।
দফায় দফায় ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো চালের দাম বাড়ানোর কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ, চালের বাজারের সিন্ডেকেট ভেঙে অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোর নজরদারিতে রেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নিন।