এম এ খালেক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৫৮ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার জন্য বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী স্বপ্ন দেখে। প্রতি বছরই এইচএসসি পরীক্ষার পর ছাত্রছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স কোর্সে ভর্তি হতে প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৪৯ জন ছাত্রছাত্রী অংশ নেয়। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের এক মাস পর ২০ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এবার ভর্তি পরীক্ষায় মাল্টিপল চয়েজ কোশ্চেন (এমসিকিউ) এবং ক্রিয়েটিভ কোশ্চেন (সিকিউ) দু ভাগে প্রশ্ন উত্তর লিখতে বলা হয়েছিল। যেহেতু শুধু এমসিকিউ প্রশ্নের মাধ্যমে একজন পরীক্ষার্থীর সত্যিকার মেধা যাচাই সম্ভব নয়, তাই একইসঙ্গে সিকিউ অংশ সংযোজন করা হয়। এটি অত্যন্ত যৌক্তিক একটি উদ্যোগ এবং এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্যই ধন্যবাদ পেতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসৃত বিধি মোতাবেক, এমসিকিউ অংশে যারা ৩০ নম্বর বা তারও বেশি নম্বর পাবে—শুধু সেই সব খাতার সিকিউ অংশ মূল্যায়ন করার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেল, এমসিকিউ অংশে ৩৪/৩৫ নম্বর স্কোর করা সত্ত্বেও অনেকের খাতার সিকিউ অংশ মূল্যায়ন করা হয়নি। ফলে সিকিউ অংশে অত্যন্ত ভালো পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্ব্বেও অনেক ছেলেমেয়ে চূড়ান্ত বিবেচনায় অনার্সে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। শোনা গেছে, যারা এমসিকিউ অংশে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের মধ্য থেকে প্রতি আসনের বিপরীতে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত মাত্র পাঁচজন ছাত্রছাত্রীর খাতার সিকিউ অংশ মূল্যায়ন করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, যারা এমসিকিউ অংশে উত্তীর্ণ হয়েছে অথবা কোয়ালিফাইয়িং নাম্বার পেয়েছে, তাদের খাতার সিকিউ অংশ কেন মূল্যায়ন করা হলো না? এমসিকিউ প্রশ্ন মাধ্যমে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর প্রকৃত মেধা যাচাই কোনোদিনই সম্ভব নয়। কারণ সবচেয়ে ভালো এবং সবচেয়ে দুর্বল দুজন ছাত্র বা ছাত্রী যদি একই উত্তরের ঘরে টিক মার্ক দেয়, তাহলে তারা একই রকম নম্বর পাবে। কিন্তু দুজন ছাত্র বা ছাত্রীকে যদি ৫ লাইন করে রচনা আকারের প্রশ্নের উত্তর লিখতে বলা হয়, তাহলে যে ভালো ছাত্র তার নাম্বার নিশ্চিতভাবেই বেশি হবে। দুর্বল ছাত্র একই প্রশ্নের উত্তর দিলেও তার নাম্বার কম উঠবে।
এমসিকিউ নয় বরং সিকিউ প্রশ্নের অংশটিকে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন ছিল একজন ছাত্র বা ছাত্রীর মেধা যাচাইয়ের মানদণ্ড হিসেবে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার দিনই সন্ধ্যায় তা স্থগিত করা হয়। কিন্তু কেন ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে তার যথাযথ কারণ বলা হয়নি। শোনা গেল, করিগরি ক্রটির কারণে ঘোষিত ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। আবার অঙ্ক প্রশ্নের সেটে কিছুটা সমস্যা দেখা দেওয়াও পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত করার কারণ বলে লোকমুখে প্রচারিত। যা হোক, আমাদের দাবি হচ্ছে—ফলাফল যেহেতু স্থগিত করা হয়েছে, তাই পরীক্ষার্থীদের খাতার সিকিউ অংশের মান যাচাই করা হোক। যে ছাত্র বা ছাত্রী এমসিকিউ অংশে কোয়ালিফাইং মার্কস পেয়েছে, তাকে যেন কোনোভাবেই অযোগ্য ঘোষণা করা যায় না।
এম এ খালেক
ঢাকা।
ABOUT CONTACT ARCHIVE TERMS POLICY ADVERTISEMENT
প্রধান সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ | প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী
প্রধান সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ
প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী
অনলাইন সম্পাদক: আরশাদ সিদ্দিকী
অনলাইন সম্পাদক: আরশাদ সিদ্দিকী | ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
© 2021 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh