Logo
×

Follow Us

চিঠি

ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি

Icon

মাজহারুল ইসলাম শামীম

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:৫৫

ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, আবহাওয়া, প্রাকৃতিক পরিবেশ-সবকিছুই কৃষিনির্ভর। তাই প্রাচীনকাল থেকেই এ দেশ কৃষিপ্রধান। এ দেশের মাটি, পানি, বায়ু সবই কৃষির অনুকূলে। কৃষি আমাদের প্রধান পেশা, দেশের শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষির সাফল্যে কমেছে খাদ্য আমদানির প্রয়োজনীয়তা।

উদ্বেগের বিষয় হলো, দেশের বিভিন্ন স্থানে তিন ফসলি কৃষিজমি ধ্বংস এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে গড়ে তোলা হচ্ছে ইটভাটা। ফলে দিন দিন কমছে আবাদি জমির পরিমাণ। 

জানা গেছে, প্রতিটি ভাটায় বছরে ৫০-৫৫ লাখ ইট তৈরি হয়। প্রতি হাজার ইট তৈরি করতে প্রায় ৮৮ ঘনফুট মাটি প্রয়োজন। সেই হিসাবে একটি ইটভাটায় বছরে প্রায় ৫ লাখ ঘনফুট মাটি দরকার হয়। মালিকরা এক হাজার ঘনফুট মাটি মাত্র ৫০০-৭০০ টাকায় কৃষকের জমি থেকে ক্রয় করে।

ইটভাটার কারণে সবচেয়ে বেশি দূষিত হয় বাতাস। ইটভাটার ধোঁয়ার কারণে গাছ, ফলমূল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মানুষ সর্দি-কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। ইট পোড়ানো কয়লা থেকে মারাত্মক ক্ষতিকর কার্বন-মনোক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। প্রশাসনের যোগসাজশে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার একর ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এতে শুধু কৃষকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, ক্ষতি হচ্ছে দেশ, জাতি, জীববৈচিত্র্যসহ পরিবেশের। তাই এ ব্যাপারে সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন।


মাজহারুল ইসলাম শামীম
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫