
ফাইল ছবি
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে ও পরে একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটে চলেছে, বিষয়টি দুঃখজনক। সহিংসতা বৃদ্ধির কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিষ্ক্রিয়তাকেই প্রথমত দায়ী করছেন।
এবারের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের নির্বাচনি প্রচারণায় এবং নির্বাচনি অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষ নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রার্থীদের শুধু নির্বাচনি আচরণবিধিই লঙ্ঘিত হচ্ছে না, নির্বাচনে ভোট প্রদানের বিষয়ে জনমনে ভীতির সঞ্চারও হচ্ছে। এসব চলতে থাকলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হবে কী করে? সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের যে ধারা চলমান, তা অল্প সময়ে সৃষ্টি হয়নি। এসব কারণেও বাড়ছে সহিংসতা। কাজেই সমাজে সার্বিকভাবে উচ্চ নৈতিকতার চর্চা না বাড়লে কোনো সহিংসতা কমবে কি না, এ বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
কেউ কেউ বলে থাকেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কিছুটা উত্তেজনা আগেও ছিল। যারা এমন কথা বলেন, তাদের মনে রাখতে হবে এবার সহিংসতা যে পর্যায়ে চলে গেছে, তা সম্ভবত অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। প্রশ্ন হলো, আমরা কি ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করব, নাকি মন্দ দৃষ্টান্ত? দেশের উন্নতি হচ্ছে, এ জন্য আমাদের গর্ব হয়; তাহলে এ ক্ষেত্রে উন্নয়ন থেমে থাকবে কেন? সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নৈতিকতার চর্চা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হবে কেন? মূল্যবোধের অবক্ষয়ের ধারা চলমান থাকবে কেন?
সব নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে, মানুষ এটাই দেখতে চায়। মানুষের প্রত্যাশা তখনই পূরণ হবে, যখন নির্বাচনের সব অংশীজন তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।
মোবারক হোসেন
শ্যামলী, ঢাকা