নোয়াখালী জেলার একমাত্র বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার আরেকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হচ্ছে নিঝুমদ্বীপ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিখ্যাত এই দ্বীপে সৌন্দর্যপিপাসুদের কমতি না থাকলেও কমতি রয়েছে সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ভাগ্য।
মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া, ভালো কোনো চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান না থাকা এবং খারাপ যোগাযোগব্যবস্থার কারণে প্রায়ই চিকিৎসার অভাবে জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মৃত্যুর খবর শোনা যায়। নামমাত্র তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও সঠিকভাবে সেবা মেলে না সেখানে।
একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র থাকলেও নেই কোনো সরকারি গেজেটভুক্ত চিকিৎসক। যদিও এখানে একজন এমবিবিএস–ডিগ্রিধারী মেডিকেল অফিসার ও দুজন ডিএমএফ–ডিগ্রিধারী উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থাকার কথা।
কিন্তু এখন অবধি নিয়োগ দেওয়া হয়নি কোনো জনবল। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি কয়েক বছর ধরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, সেভ দ্য চিলড্রেন ও ইউএসএইডের যৌথ সহযোগিতায় মা-মণি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।
যেখানে সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা বিনা মূল্যে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের সেবা দেওয়া হয়। কেন্দ্রটিতে একজন নারী প্যারামেডিকের তত্ত্বাবধানে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ জন অন্তঃসত্ত্বার স্বাভাবিক সন্তান প্রসবসহ গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসবপরবর্তী জটিলতায় সেবা প্রদান করা হয়।
৩১ জানুয়ারি মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে মা-মণি প্রজেক্টটিরও। সরকারি কোনো গেজেটেড কর্মকর্তা না থাকায় এবং প্রজেক্টটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কার্যত বন্ধ হয়ে পড়বে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটিও। এ অস্থায় প্রজেক্টের মেয়াদ শেষে হওয়ার সংবাদে দ্বীপজুড়ে বিরাজ করছে হাহাকার।
তাই অতি দ্রুত নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়োগ ও চলমান মা-মণি প্রজেক্টটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh