Logo
×

Follow Us

লাইফস্টাইল

ভালোবাসাবাসির দিন

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:২৮

ভালোবাসাবাসির দিন

ভালোবাসা দিবসে লাল শাড়িতে হয়ে উঠতে পারেন নিঝুম রুবিনার মতো মোহনীয়। ছবি: সংগৃহীত

ভালোলাগা বা ভালোবাসা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে’ শুধু তরুণ-তরুণী নয়, নানা বয়সের মানুষের নানা ধরনের ভালোবাসা প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন। মানুষে মানুষে ভালোবাসাবাসির দিনও এটি।

বসন্ত আর ভালোবাসা দিবস এখন একসঙ্গে হাত ধরে আসে। আগে সাধারণত পয়লা ফাল্গুন ১৩ ফেব্রুয়ারি এবং ভালোবাসা দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারি হতো। বাংলা দিনপঞ্জিকা সংশোধন করে গ্রেগরিয়ান দিনপঞ্জির সঙ্গে সমন্বয় করায় পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারিতে পড়েছে। পশ্চিমা রীতির এই দিবসটি বেশ কয়েক বছর ধরে ঘটা করে উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে। উপহার দেওয়া, একসঙ্গে বাইরে ঘুরে বেড়ানো, কোথাও খেতে যাওয়া, এরপর সেই আবেগের কথাটি জানিয়ে দেওয়া- ‘আমি তোমায় ভালোবাসি’। 

ভালোবাসার উপহারের মধ্যে প্রথম অবস্থান ফুলের। দেশে এক দিনে সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রিও হয় এই দিনে। ২০১৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি যত ফুল উপহার দেওয়া হয়, তার মধ্যে গোলাপ থাকে ৮৮ শতাংশ। সারা বিশ্বে ভালোবাসা দিবসে গোলাপ ফুল বিক্রি হয় ২৫ কোটি। অর্থাৎ গোলাপই ভালোবাসা দিবসের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

প্রতিবছরের ১৪ ফেব্রুয়ারিই কেন ভালোবাসা দিবস উদযাপন করা হয়- এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের। ভালোবাসা দিবস নিয়ে ইতিহাসটি হচ্ছে রোমের ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের। তিনি ছিলেন মানবপ্রেমিক ও খ্রিষ্টধর্ম প্রচারক। রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ছিলেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাসী। তিনি বিয়েও নিষিদ্ধ করেছিলেন। কারণ তার মনে হয়েছিল, বিবাহিত পুরুষরা খারাপ সৈন্য হয়ে থাকে। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন মনে করেন, এটি অন্যায়। তাই তিনি নিয়মগুলো ভেঙে গোপনে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। ক্লডিয়াস যখন এই খবর জানতে পারেন, তখন তার আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

কারাগারে থাকা অবস্থায় ভ্যালেন্টাইন কারা প্রধানের মেয়ের প্রেমে পড়েন। ১৪ ফেব্রুয়ারি যখন তাকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ভ্যালেন্টাইন ওই মেয়েটির উদ্দেশে একটি প্রেমপত্র পাঠিয়ে যান। যেখানে লেখা ছিল, ‘তোমার ভ্যালেন্টাইনের পক্ষ থেকে।’ 

প্রথম ভ্যালেন্টাইন’স ডে ছিল ৪৯৬ সালে। একটি নির্দিষ্ট দিনে ভ্যালেন্টাইন’স ডে পালনের বিষয়টি বেশ প্রাচীনকালের ঐতিহ্য, যা রোমান উৎসব থেকে উদ্ভূত বলে মনে করা হয়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের স্মরণে এই উৎসব উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ধীরে ধীরে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামটি মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠতে শুরু করে। আর মানুষ তার ভালোবাসার মানুষের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশের জন্য এই নামটি ব্যবহার করা শুরু করে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫