
পেঁয়াজ কলি। ছবি: সংগৃহীত
শীত মানেই নানা স্বাদ ও রঙের সবজির সমাহার। এ সময় নানারকম পুষ্টিকর সবজির ভিড়ে একটি পরিচিত সবজি হলো পেঁয়াজ কলি। তবে শীতের শেষে এখন বাজার থেকে বিদায়ের মুখে পেঁয়াজ কলি। গাঢ় সবুজ রঙের এই সবজি বেশ উপকারী এবং রয়েছে ঔষধি গুণও।
পেঁয়াজ কলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি২ পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি থায়ামিন ও ভিটামিন কে-র একটি ভালো উৎস। ভিটামিনের পাশাপাশি তামা, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্রোমিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় লবণও এতে পাওয়া যায়। পেঁয়াজ কলি স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন, লবণ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে পূর্ণ একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
চীনে এটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। তবে প্রতিটি খাবারের উপকারের পাশাপাশি থাকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কোনো কিছু বেশি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি।
. পেঁয়াজ কলিতে বেদনা উপশমকারী উপাদান থাকায় এটি দ্রুত মাথা, মাংসপেশি এবং হাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। অ্যান্টি-পাইরোটিক উপাদান থাকায় খাবারে পেঁয়াজ কলি ব্যবহার করলে জ্বর দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
. পেঁয়াজ কলিতে থাকা সালফার শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে যা হজমে সহায়তা করে।
. ক্ষত থেকে রক্তপাত বন্ধ এবং সেই ক্ষতকে ইনফেকশনমুক্ত রাখার জন্য পেঁয়াজ কলি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
. টাইফয়েড, ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ, ফুড পয়জনিং ও দেহের দুর্গন্ধ রোধে পেঁয়াজ কলি অনেক উপকারী।