
প্রতীকী ছবি
প্রতিযোগিতাপূর্ণ এ বিশ্বে সবকিছু ছাপিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানো খুব সহজ নয়। সমাজের সব স্তরের মানুষের মাঝেই সফলতা প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা থাকে। প্রতিটি মানুষ তার নিজ নিজ জায়গা থেকে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে সফল হওয়ার চেষ্টা করে। তবে রাতারাতি কেউ জীবনে সফল হয় না। সফলতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন দৃঢ় প্রচেষ্টা, ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রম। আর এই চেষ্টা ও ধৈর্য ধরে রাখতে প্রয়োজন মনোবল।
মনোবল ধরে রেখে এবং মানসিক চাপ দূর করে লক্ষ্যে পৌঁছাতে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। যেমন-
১. সফল হতে হলে উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য দুইটি বিষয়েই সুনিশ্চিত হওয়া আবশ্যক। জীবন সব সময় অনুকূল থাকবে না এবং আশানুরুপ হবে না। অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। যা নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি করে। তবে থেমে গেলে চলবে না। আশাহত না হয়ে, মনোবল অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। উদ্দেশ্য মাথায় রাখতে হবে এবং লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে। তাহলেই সব বাঁধা কাটিয়ে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব, তথা সফল হওয়া যাবে।
২. কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য সঠিক পরিকল্পনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেকেই আছেন যারা হয়তো বেশ সহজে লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন। তাদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করলে মনোবল কমে যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, আমরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থেকে নিজেদের জন্য লড়ছি। তাই তুলনা না করে বরং কর্ম পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে দৃঢ় মনোবল নিয়ে সেই অনুসারে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই সফলতা অর্জন হবে। চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব লিলি কলিন্স বলছেন, আমি সব সময় নিজেকে বলি, কোনকিছু 'নেতিবাচক' হওয়া মানে সেটা 'না' হয়, বরং সেটা হচ্ছে 'এখন নয়'।
৩. নিজেকে দূর্বল ভাবা যাবে না। পৃথিবীতে সবাই সব কিছু পারে না। পরিস্থিতির কারণে নিজেকে বদলাতে হয়। সব পরিবেশে মানিয়ে নিতে হয়। প্রথমে একটু চাপের মনে হলেও ধীরে ধীরে নিজের দূর্বল দিকগুলো ঠিক করে নিতে হবে। বিপণন গুরু বলে পরিচিত মেরি পোরটাস বলছেন-যারা সব সময় সব পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকেন, সব কাজ 'পারব' বলে রাজি হয়ে যান ও সেটা পাবার জন্য নিজের সেরাটা দেন এমন মানুষ পছন্দ আমাদের।
৪. সফল হতে হলে সমালোচনায় ভেঙে পড়লে চলবে না। সমালোচনায় আসেনি বা সমালোচিত হোননি এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। সমালোচনাকে গুরুত্ব না দেওয়ায় ভালো। বিখ্যাত কমেডিয়ান এবং লেখক জো ব্রান্ড বলছেন, অন্যরা আপনার সম্পর্কে কী পাত্তা দেবার অত দরকার নেই। কারণ নিজের সম্পর্কে আপনার যে ধারণা তা অন্যের অনুমোদনের ছাড়াই আপনি বিশ্বাস করতে পারেন।
৫. সত্যিকার অর্থে দৃঢ়চেতা মনোভাব, কঠোর অধ্যবসায় এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই একজন মানুষকে ধীরে ধীরে সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দেয়। সফল হতে হলে সুস্থ থাকা আবশ্যক। যদি সুস্থ না থাকেন তাহলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ অর্জনে ব্যাঘাত ঘটবে। সফল হতে হলে যথা সম্ভব নিজের প্রতি যত্নবান হোন