
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চীনের বাইরে ১০৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮২৮ জন। আর তাই বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা থেকে বাঁচতে বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, হ্যান্ডশেক তথা করমর্দন করা থেকে বিরত থাকতে হবে, কোলাকুলি করা যাবে না ইত্যাদি।
সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করেছে। এ খাবারগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আর এসব খাবার খেলে করোনাভাইরাস আপনাকে দুর্বল করতে পারবে না।
যেসব খাবার ঠেকাবে করোনার জীবাণু তা আলোচনা করা হলো:
আমলকী
আমলকী পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভালো ফলাফল পেতে চা-চামচের অর্ধেক আমলকি গুঁড়োর সাথে একটি রসুনের কোয়া থেতলে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।
নিম পাতা
অনেক আগে থেকেই ভারতীয়রা খালি পেটে কচি নিম পাতা চিবিয়ে খেতো। এটি রক্ত পরিশুদ্ধ করে বলেই ধারণা করেন ভারতীয় আয়ুর্বেদরা। নিমের কচি পাতায় অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
মসলাদার চা
কয়েকটি তুলসী পাতা, এক টুকরো আদা ও পরিমাণ মতো গোল মরিচ মিশিয়ে চা পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
কমলার জুস
নিয়মিত এক গ্লাস কমলার জুসের সাথে একটু গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। এতে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাবেন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
আদা ও তুলসী পাতা
তাজা আদা রসের সাথে কয়েকটা তুলসী পাতা বেটে মিশিয়ে তা পান করুন। এর সাথে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরকম মিশ্রণ প্রতিদিন পান করলে কফ দূর হবে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
তুলসী ও গোল মরিচ
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৫/৭টি তুলসী পাতার সাথে এক চামচ মধু ও দুটো গোল মরিচ গুঁড়ো করে মিশিয়ে পান করুন। এরপর পানি পান করবেন না। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
হলুদ মেশানো দুধ
ভারতীয় উপমহাদেশে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক আগে থেকেই হলুদ মেশানো দুধ পান করার প্রচলন আছে। এক কাপ গরম দুধের সাথে আধা চা-চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত পান করুন। ভালো করে হলুদ মিশিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে গরম ওই দুধ পান করতে হবে।