
গৃহসজ্জা। ছবি: সংগৃহীত
শেষ রোজায় সন্ধ্যার আকাশে রুপালি রঙের চাঁদ ভেসে উঠতেই ঈদের আনন্দ যেন প্রাণ খুলে হাসতে থাকে। খুশির রঙ ছড়িয়ে পড়ে ঘরে ঘরে। এদিন যে কেউ অন্দরসজ্জায় একটু বেশি মনোযোগী হন। কীভাবে গৃহসজ্জা করবেন সেই ভাবনায় অনেকে হন পেরেশান। তাদের জন্য এই আয়োজন।
ঘরের শুরু যেহেতু দরজা থেকে সেহেতু চাইলে সেখান থেকেই শুরু করতে পারেন। দরজায় টাঙিয়ে দিতে পারেন চোখে তৃপ্তিদায়ক রঙের কোনো পর্দা। ঈদ উপলক্ষে অন্দরমহলে নতুনত্ব আনতে বদলে নিতে পারেন চাদর, পর্দা, সোফার কুশনসহ আনুষঙ্গিক জিনিসগুলো। এক্ষেত্রে শিকড়ের ঘ্রাণের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেল আনতে পারেন। পর্দার প্রিন্টে স্থান দিতে পারেন দেশীয় ঐতিহ্যমণ্ডিত ছাপচিত্র।
এখন যেহেতু গরমকাল, তাই জানালার পর্দায় ভারী কাপড় ব্যবহার করুন। আর চাদর, বালিশের কাভারের ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন ব্লক, বাটিক বা প্রিন্টের বেডশিট। রঙের বিষয়টিও মাথায় রাখুন। কাপড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে সুতি, আদ্দি, খাদিসহ আরামদায়ক সব কাপড়।
সোফা ও কুশনের ক্ষেত্রে ফুটিয়ে তুলতে পারেন আবহমান গ্রামবাংলার কৃষ্টি। সেজন্য কুশন কাভারে রাখতে পারেন গামছা প্রিন্ট। সোফায় রাখতে পারেন চাহিদাসই দেশীয় মোটিফের ছাপ। পাশাপাশি নিজের পছন্দসই রঙ ও ডিজাইন বেছে নিতে পারেন।
দেওয়ালে ঝুলিয়ে দিতে পারেন মরিচবাতির ছড়া, ঘরের কোনায় বাঁশ বা বেতের ল্যাম্পশেড কিংবা বাঁশের স্ট্যান্ডে ঝোলানো হারিকেনের আঙ্গিকে বানানো ল্যাম্প। চাইলে কয়েকটি মোমবাতি রেখে দিতে পারেন মোমদানিতে। ঘরের বিভিন্ন স্থানে রাখা পাশ্চাত্য ঢঙের শোপিসগুলো সরিয়ে রেখে দিতে পারেন দেশীয় ঐতিহ্যমণ্ডিত শোপিস।
বাঙালির উৎসবে কব্জি ডুবিয়ে ভোজনের ব্যাপারটা থাকে। ঈদ হলে তো কথাই নেই। খাওয়ার সময় যদি দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ বিরাজ করে তবে যেন আরও জমে যায়। এক্ষেত্রে খাবার টেবিল সাজাতে পারেন মনের মাধুরী মিশিয়ে। বিছিয়ে দিতে পারেন ফুল তোলা রানার। লেস লাগানো চটের রানারও পেতে দিতে পারেন। এরপর নজর দিতে পারেন খাবার পরিবেশনে ব্যবহৃত পাত্রের দিকে। চিনামাটিসহ ভিনদেশি সংস্কৃতির বাসনকোসনের পাশাপাশি খাবারের পাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন মাটি ও কাঁসার থালা, গ্লাস, বাটি। সেই সঙ্গে উচ্ছিষ্ট ফেলতে একটি চিলিমচিও রাখতে পারেন।
ঈদের দু-তিন দিন হাত মোছার জন্য টাওয়াল, টিস্যুর পাশাপাশি বেসিনের পাশে ঝুলিয়ে দিতে পারেন একটি নতুন গামছা। এতে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আভিজাত্য মিলেমিশে হয়ে যাবে একাকার।