Logo
×

Follow Us

লাইফস্টাইল

সময়কে কীভাবে কাজে লাগাবেন

Icon

অনিন্দ্য শুভ

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৩, ০৯:১১

সময়কে কীভাবে কাজে লাগাবেন

প্রতীকী ছবি

হাতের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হওয়ার আগেই সূর্য ডুবে যায়। রাত জেগে কাজ করতে গিয়ে ওদিকে পেরিয়ে যায় ঘুমের সময়। পরদিন অফিস কিংবা ক্লাস আছে। ফলে দিনের কাজ আর শেষ করা হয় না। তাই কাজের চাপে ব্যস্ত নগরীর অনেকেরই মনে হয় দিন ২৪ ঘণ্টার চেয়ে আরও দুই-তিন ঘণ্টা বেশি হলো না কেন। কিন্তু সে তো আর সম্ভব না। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করতে খুঁজে বেড়াই নানান সমাধান। 

সবারই এক কথা, কীভাবে সময়কে বশে আনবেন? এর একমাত্র সমাধান টাইম ম্যানেজমেন্ট। কর্মব্যস্ত মানুষগুলোর অধিকাংশই যেটা মেনে চলেন না। ফলে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। এবার জেনে নেই, কীভাবে করা যেতে পারে টাইম ম্যানেজমেন্ট। 

টাইম ম্যানেজমেন্ট মেনে সফলতার সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করতে হলে আমাদের প্রথমেই দুটি কথা মনে রাখতে হবে। এক. অমূল্যবান কাজে সময় ব্যয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। দুই. সময় অপচয় একেবারেই করা যাবে না। ধরুন, আগে থেকে তালিকা করে রেখেছেন সারাদিনের কাজের। সকাল থেকে সেভাবেই শুরু করেছেন। তারপরও একটা সময় দেখা গেল সুয্যিমামা ডুবি ডুবি। কিন্তু বেশ খানিকটা কাজ তখনো বাকি। এবার মিলিয়ে নিন সমীকরণ। 

আমরা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর দিকে মনোযোগী হই, বেশি সময় দেই। মনের অজান্তেই মূল্যবান কাজে সময় দিতে গিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজে হাত সেভাবে দেওয়া হয়নি। ফলে দিন শেষে সেগুলোই হয়ে আছে গলার কাঁটা। 

সারাদিনের কাজের মধ্যে আরও একটি বিষয় খেয়াল করলে দেখা যায়, আমরা কাজের ফাঁকে ফেসবুক স্ক্রলিং শুরু করি। কিংবা ক্লান্তি দূরের অজুহাতে ইউটিউব ঘাঁটাঘাঁটি করি। আর এটাই হয়ে দাঁড়ায় কাল। কেননা একটু বিশ্রামের অজুহাতে এই কাজটি ঘন ঘন করে থাকি আমরা। ফলে কর্মঘণ্টার অনেকটাই চলে যায় এই খাতে। হাতের কাজ হাতেই থেকে যায়।

এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কাজের সময় আমাদের খুব সচেতনভাবে সামাজিক মাধ্যমগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। হ্যাঁ, ব্যস্ততাকে উপভোগের জন্য কাজের মাঝে হাতে গোনা দুই-একবার নেটমাধ্যম ঘুরে আসতে পারেন। কিন্তু এর বেশি নয়। তবে তা হতে হবে একেবারেই অল্প সময়ের জন্য। আর এভাবে টাইম ম্যানেজমেন্ট করলেই সময়ের ওপর ছড়ি ঘোরাতে পারবেন। 

দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, সময় একেবারেই অপচয় করা যাবে না। সব সময় মাথায় রাখতে হবে, টাকা চলে গেলে কোনো না কোনোভাবে তা ফিরে আসে। কিন্তু সময় চলে গেলে তা আর ফিরে আসবে না। আর যে ব্যক্তি সময়কে যথাযথ মূল্য দেয় না সময়ও তার কাছে ধরা দেয় না। সময়ের যথাযথ মূল্য না দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। আর পরিস্থিতি যদি এমন হয় তবে টাইম ম্যানেজমেন্ট মেনে রোজকার কাজ গুছিয়ে নেওয়া মোটেও সম্ভব না। 

টাইম ম্যানেজমেন্ট অনুসরণ করতে আরও একটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তা হলো, যে কাজটি করতে যাচ্ছেন তার ফল কতটা ইতিবাচক। অনেক সময় দেখা যায় আমরা তুলনামূলক কম ফলপ্রসূ কাজে অধিক সময় ও মনোযোগ দিয়ে থাকি। ফলে অন্য কাজগুলো প্রয়োজনীয় হওয়া সত্তে¡ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়। সে কারণে কোনো একটি কাজের পরিকল্পনার আগে একটু অঙ্ক কষে নিন। তারপর মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন। এরপর ফল মাথায় রেখে কাজ শুরু করুন। তাতে মানসিক প্রস্তুতির কারণে খুব সহজেই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ শেষ করতে পারবেন। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫