
থ্যালাসেমিয়া। ছবি: সংগৃহীত
থ্যালাসেমিয়া হলো রক্তের এক ধরনের অসুস্থতা যা বংশগতভাবে আক্রমণ করে। থ্যালাসেমিয়ার কারণে শরীর সামান্য কিছু স্বাস্থ্যকর লাল রক্ত কণিকা উৎপন্ন করে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে কম পরিমাণ হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। হিমোগ্লোবিন হলো লাল লোহিত কনিকায় নিহিত এক ধরনের প্রোটিন, যা অক্সিজেন বহন করে।
হিমোগ্লবিন লাল লোহিত কনিকার খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রত্যেক মানুষই হয় নরমাল না হয় থ্যালাসেমিয়া মেজর অথবা থ্যালাসেমিয়া মাইনরের অধিকারী হয়ে থাকেন।
থ্যালাসেমিয়া মেজর তখন হয় যখন শিশু বাবা-মা ২ জনের কাছ থেকে ১টি করে মিউটেটেড জিনের (Mutated Gene) অধিকারী হয়। এসব শিশুরা স্বাভাবিক, পরিণত হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin) তৈরিতে অক্ষম থাকে। থ্যালাসেমিয়া ট্রেইটকে (Thalassemia trait) মাঝে মাঝে থ্যালাসেমিয়া মাইনর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এরা বাবা-মা যেকোনো ১ জনের কাছ থেকে ত্রুটিপূর্ণ জিন গ্রহন করে। থ্যালাসেমিয়া মাইনর, থ্যালাসেমিয়া মেজর থেকে অনেকটা নিরাপদ। থ্যালাসেমিয়ার কারণে অ্যানিমিয়া (Anemia) দেখা দিতে পারে।
থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ:
সাধারণত থ্যালাসেমিয়ার ধরণ আর তিব্রতার উপর লক্ষণ নির্ভর করে। কিছু কিছু শিশু জন্মগত ভাবেই থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ নিয়ে জন্মায়। আবার কেউ তার জন্মের ২ বছরের মধ্যে লক্ষণ দেখানো শুরু করে।
- চোখের রঙ হলদে হয়ে যাওয়া থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ।
- অল্পতেই শরীর অবসন্ন হয়ে যাওয়া।
- দুর্বলতা অনুভব করা।
- চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া।
- মুখের হাড়ে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়।
- ইউরিনের রঙ গাঢ় হয়ে যাওয়া (লাল লোহিত কনিকা ভেঙ্গে যাওয়ার লক্ষণ) ও চোখের রঙ হলদে হয়ে যাওয়া।
- খাওয়াতে অরুচি দেখা দেয়।