
ঠান্ডা পানি। ছবি: সংগৃহীত
গরমকালে একটু পর পর গলা শুকিয়ে যায়। তখন এক গ্লাস ঠান্ডা পানি স্বস্তি দেয়। বিশেষ করে রোদে ঘেমে বাড়ি ফিরলেই অধিকাংশই ফ্রিজে ঠান্ডা পানি পান করে। কিন্তু গরমে ঠান্ডা পানি পান করালে তাৎক্ষনিক ভাবে সুস্থতাবোধ করলেও এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
তাইওয়ানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা পানি পান করা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। তাই বিপদ থেকে বাঁচতে ঠান্ডা পানি পানের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। যাদের আগে থেকেই হার্টের সমস্যা রয়েছে, তারা ঠান্ডা পানি পুরোপুরি এড়িয়ে চলবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে ঠান্ডা পানি। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে খাবার হজম করা শরীরের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় বেড়ে যায় কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি। ভালো হজম কিংবা পেট পরিষ্কার না হলে শরীরে অসুখ বাসা বাধতে সময় নেয় না। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে নানা সমস্যা শুরু হয়। আর
মাথাব্যথাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে ঠান্ডা পানি পানের অভ্যাস। বরফ মুখে দিলে দেখবেন খাওয়ার সময় কপালে চিনচিনে ব্যথা বোধ করছেন। একইভাবে ঠান্ডা পানি পান করলে তাও আপনার মাথাব্যথার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ঠান্ডা পানি আমাদের সংবেদনশীল স্নায়ুগুলোকে ঠান্ডা করে এবং দ্রুত মাথায় বার্তা পাঠায়।
গরমকালে বরফ ঠান্ডা পানি খেলে ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ঠান্ডা পানি শ্বাসনালীতে মিউকাস জমতে সাহায্য করে। ফলে শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয়।
খাওয়ার ঠিক পরেই ঠান্ডা পানি খেলে তা ফ্যাট জমিয়ে দিতে পারে। ফলে ফ্যাট হজম হতে বাধা পায় ও শরীরে মেদ হিসেবে জমা হয়। তবে শুধু ঠান্ডা পানি নয়, খাওয়ার ঠিক পরই পানি খাওয়া উচিত নয়। অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি খান।
কিছু গবেষকরা জানিয়েছেন, ঠান্ডা পানি হার্ট রেট কমিয়ে দিতে পারে। বরফ ঠান্ডা পানি দশম কার্নিয়াল নার্ভকে উত্তেজিত করে। এই নার্ভ হার্ট রেট কমিয়ে দেয়।
ওয়ার্কআউট করার পর খুব গরম লাগে। তখন অনেকেই ঠান্ডা পানি খেতে চান। কিন্তু ওয়ার্কআউটের পর ঠান্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়। জিম এক্সপার্টরা ওয়ার্কআউটের পর গরম পানি খেতে বলেন। কারণ এক্সারসাইজের পর শরীর গরম হয়ে যায়। এই সময় বরফ ঠান্ডা পানি খেলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে তারতম্যের জন্য পৌষ্টিকনালীতে প্রভাব ফেলে। উপরন্তু, শরীর কিন্তু ঠান্ডা পানি শোষণ করতে পারে না। পেটে কষ্টদায়ক যন্ত্রণাও হতে পারে।