Logo
×

Follow Us

লাইফস্টাইল

গরমে ঘর হোক আরামদায়ক

Icon

অনিন্দ্য শুভ

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩, ১৪:৩৬

গরমে ঘর হোক আরামদায়ক

গরমে যত কম আলো জ্বালানো যায় ততই মঙ্গল। ছবি: সংগৃহীত

আজকাল অফিস শেষে ঘরে ফেরার কথা ভাবতেই শরীরে জ্বর এসে যায় শুভর। কেননা অফিসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে থাকায় গরম সহ্য করতে হয় না। কিন্তু অফিস থেকে বের হতেই উত্তপ্ত আবহাওয়ায় জীবন নাজেহাল। প্রচণ্ড গরমে প্রাণী ও প্রকৃতি হাঁসফাঁস করছে। ওদিকে মাথার সূর্যের নমনীয় হওয়ার কোনো লক্ষণই নেই। সবচেয়ে শান্তির জায়গা ঘর। গরমে সেখানেও টেকা দায়। এমন অবস্থায় ঘরের পরিবেশটা স্বস্তিদায়ক রাখতে কী করা উচিত, জেনে নেই। 

সবচেয়ে ভয়াবহ দুপুরবেলার তাপ। এ সময় ঘরের পরিবেশও উত্তপ্ত হয়ে থাকে। ঘরে সূর্যের তাপের প্রবেশ রোধ করতে পারলে কিছুটা হলেও নিস্তার পাওয়া যায় গরম থেকে। এজন্য জানালায় দুই লেয়ারের পর্দা টাঙাতে পারেন। এতে সূর্যের প্রখরতা থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে প্রথমে নেটের পাতলা পর্দা রেখে তার ওপর ভারী কাপড়ের পর্দা রাখতে পারেন। এতে ঘরে সূর্যের আলোর প্রবেশে যেমন কড়াকড়ি থাকবে তেমনই গরমের রাজত্বটাও কমবে। 

বিকালের আবহাওয়া সাধারণত ঠান্ডা থাকে। এটাই ঘর শীতল করার উপযুক্ত সময়। ঘরের জানালাগুলো খুলে রাখুন সন্ধ্যা পর্যন্ত। তুলে নিন পর্দাও। ফলে বাইরের নির্মল শীতল বাতাস ছুঁয়ে যাবে ঘর। এছাড়া গরমকালে জানালার পাশেই বিছানা পাততে পারেন। যাতে করে কিছুটা ঠান্ডা বাতাস এলেও তা আরামদায়ক করে তুলবে ঘমের সময়। 

গরমে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় বিছানার চাদর। এদিকে বিশেষ খেয়াল রাখাটা বাঞ্ছনীয়। গ্রীষ্মে বিছানার চাদর হিসেবে লিনেন বা সুতি কাপড় সবচেয়ে উপযোগী। এ সময় এড়িয়ে চলা ভালো সিল্ক বা ভারী কাপড়ের বেডশিট। রঙের ব্যাপারটিও মাথায় রাখতে হবে। গাঢ় রং পরিহার করে হালকা রঙের চাদর পেতে দিন বিছানায়। তাতে কিছুটা হলেও গরম লাঘব হবে। একই নীতি অবলম্বন করতে পারেন জানালার পর্দা, সোফার কুশন ও কাভারের ক্ষেত্রেও। 

গরমে ঘরে জায়গা যত খালি থাকবে মানসিকভাবে ততটা প্রশান্তি অনুভব করবেন। এ কারণে শোবার ঘরে যতটা পারা যায় আসবাবপত্র কমিয়ে হালকা করা উচিত। সেই সঙ্গে ক্যাবিনেট আলমারি ব্যবহার করতে পারেন। তাতে প্রয়োজনও মিটবে ঘরও থাকবে খোলামেলা। গরমে ঘরে আরাম ধরে রাখতে আরও একটি পদক্ষেপ নিতে পারেন। মেঝেতে ম্যাট বা কার্পেট বিছানো থাকলে তুলে ফেলুন। কেননা এই ভারী বস্তুগুলোর তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি। গরমে ঘরের খালি মেঝেই আরামদায়ক। সেখানে গা এলিয়ে দিলে কিছুটা হলেও শীতল স্পর্শ অনুভব করা যায়। 

গরমে যত কম আলো জ্বালানো যায় ততই মঙ্গল। কেননা উজ্জ্বল আলোয় ঘর গরম হয়ে উঠতে পারে। সে কারণে দিনের বেলায় ঘরের বৈদ্যুতিক বাতি নিভিয়ে রাখুন। ঘরে রাখা বিভিন্ন ডিভাইস যেমন ল্যাপটপ, চার্জারের সুইচ প্রয়োজন ব্যতিরকে বন্ধ রাখাই শ্রেয়। মানসিক প্রশান্তিও শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই ঘরের দেওয়ালে বাঁধাই করে রাখতে পারেন নিখাদ প্রাকৃতিক কোনো দৃশ্য। ফলে চোখের তৃপ্তি মানসিকভাবেও রাখবে স্বস্তিতে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫