
প্রতীকী ছবি
বাবা মানে বটগাছের শীতল ছায়া, ভয়হীন ভরসা, পরম নির্ভরতা। বাবা মানে নিজের সবটুকু দিয়ে সন্তানকে, পরিবারকে আগলে রাখা। বাবা আপনার আমার জীবনের এমনই একজন। আগামী ১৮ জুন বিশ্ব বাবা দিবস। বাবা দিবসে বাবাকে ভালোবেসে দিতে পারেন তার পছন্দের উপহার। সন্তানের দেওয়া ছোট্ট উপহার হতে পারে বাবার জন্য অনেক বড় আনন্দের উৎস। দেখে নেই বাবাকে কেমন উপহারগুলো দেওয়া যায়...
চশমা: অনেকের বাবা চশমা পরেন। এমনও হয় কারও কারও বাবা ভাঙা চশমা দিয়েই চালিয়ে দিচ্ছেন। টাকা জমিয়ে হলেও এই দিনে বাবার জন্য একটা চশমা উপহার দেওয়াটা দারুণ হবে।
ওয়ালেট: পুরুষদের প্রয়োজনীয় একটি অনুষঙ্গ ওয়ালেট। এই দিনে বাবাকে একটা ভালো ব্যান্ডের ওয়ালেট উপহার দিতে পারেন।
লাঞ্চ বক্স: বাবা যদি অফিসে খাবার নিয়ে যান তাহলে একটা ভালো লাঞ্চ বক্স বাবাকে উপহার হিসেবে দিতে পারেন।
শেভিং কিট: বাবাকে সুন্দর এক সেট শেভিং কিট উপহার দিতে পারেন।
টি-শার্ট: বাবাকে অনেক কথা বলার সাহস হয়ে ওঠে না। না বলা সেসব ভালোবাসার কথা টি-শার্টে লিখে বাবাকে সারপ্রাইজ দিতে পারেন। নতুন ডিজাইনের টি-শার্ট দেখে বাবা অবশ্যই খুশি হবেন।
সুগন্ধি: সুগন্ধি পছন্দ করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাবা দিবসে বাবাকে চাইলে বাবার পছন্দের একটা পারফিউম কিংবা আতর উপহার দিতে পারেন।
জুতা: এক জোড়া সুন্দর জুতা হতে পারে বাবা দিবসের দারুণ উপহার। বাবার পছন্দের আউটফিটের সঙ্গে মানিয়ে কিনে দিতে পারেন ব্র্যান্ড বা নন-ব্র্যান্ডের ভালো মানের জুতা।
হাতঘড়ি: বাবা দিবসে সবচেয়ে সুন্দর উপহার হতে পারে একটি হাতঘড়ি। বাবার পছন্দের ব্র্যান্ডের ঘড়িটি চাইলে এই দিনে কিনে দিতে পারেন।
ছবির ফ্রেম: বাবার সঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের একটি ছবি ফ্রেম করে উপহার দিতে পারেন। এই স্মৃতি সারাজীবন ঘরে থাকবে।
বই: উপহার হিসেবে বই সবচেয়ে ভালো। অবসরে সবচেয়ে ভালো সঙ্গ দেয় বই। বাবা যদি বই পড়তে পছন্দ করেন তাহলে বাবার পছন্দের লেখকের কয়েকটি বই উপহার দিতে পারেন। কারণ একটি বই অনেক স্মৃতি ধরে রাখে।
কলম: ভাবছেন কলম তো অনেক সাধারণ উপহার। কম বাজেটে সবচেয়ে সুন্দর উপহার হতে পারে কলম। আর সন্তানের দেওয়া কলমের গুরুত্বও বাবার কাছে অনেক বেশি হবে নিশ্চয়ই।
পছন্দের খাবার ও একটু সময়: বাবাকে ভালোবেসে একদিন চাইলে রান্না করে খাওয়াতে পারেন, একটু সময় নিয়ে বাবার সঙ্গে আড্ডা দিতে পারেন। বাবার কাছে হয়তো এই মুহূর্তটুকুই পৃথিবীর সেরা মনে হবে।