Logo
×

Follow Us

লাইফস্টাইল

ঘরেরও হোক পূজার সাজ

Icon

আফরোজা চৈতী

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০৪

ঘরেরও হোক পূজার সাজ

পূজায় ঘরের সাজ। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

পূজায় শুধু নিজের বা পরিবারের জন্য নতুন সাজ নয়, বাড়িকেও দিতে হয় নতুন সাজ। আসছে শারদীয়া দুর্গোৎসব। পূজার আয়োজনে তাই ঘর সাজানোটাও এই উৎসবেরই একটি অংশ। ঘরের সাজের জন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা ও বাজেট। পূজা মানেই রং আর উজ্জ্বল সব আলোর খেলা। পুরনো আসবাব আর পুরনো সজ্জায় বুনে দিতে পারেন নতুন রং আর উজ্জ্বলতার দ্বৈততা। পূজায় ঘর সাজাতে খুব দামি উপকরণ নয় বরং হাতের কাছে থাকা ফুল, মাটির প্রদীপ, ধূপদানি, ধূপবাতি- এসব দিয়েই সাজানো যায়। 

হাতের কাছে থাকা পুরনো কাপড় দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন চমৎকার কুশন অথবা ডাইনিং টেবিলের রানার। পুরনো হয়ে যাওয়া পর্দায় রঙিন কাপড় জুড়ে অথবা উজ্জ্বল রঙের ডাই করে দিতে পারেন নতুনের আমেজ। বারান্দায় রাখা মাটি বা টিনের ডিব্বায় রং করে আনতে পারেন অন্য আমেজ। পুরনো দইয়ের ভাঁড় অথবা পুরনো কাচের বাটিতে পানি ঢেলে ভাসিয়ে দিতে পারেন ফ্লোটিং ক্যান্ডেল। হয়তো পুরো ঘরের চেহারা পাল্টে ফেলা সম্ভব না। তবে ছোটখাটো এই পরিবর্তনগুলো পাল্টে দিতে পারে একঘেয়ে, পুরনো ঘরের চেহারা। 

পূজা মানেই নানা রকম খাওয়া-দাওয়া। তাই পূজায় খাবার টেবিলকে সাজাতে পারেন অন্যভাবে। ডাইনিং টেবিলে পুরনো কভারের ওপর দিতে পারেন পুরনো শাড়ির পাড় কেটে তৈরি করা নতুন রানার। সুন্দর টেবিল ম্যাটের ওপর সুদৃশ্য মোমবাতি রাখুন। তার পাশে বাহারি প্লেটে সাজিয়ে রাখুন খাবার। টেবিলের এক কর্নারে ফুলদানিতে রাখুন তাজা ফুল। পুরনো কাঁসার গ্লাস-প্লেটগুলো ধুয়ে নিন তেঁতুলের পানিতে। পুরনো আসবাব যদি পারেন এই পূজার সময়টা রং করিয়ে নিতে পারেন। সবকিছু নতুন কিনে ঘর সাজাতে হবে এমনটি নয়। বরং ঘরে যা আছে তাকেই সুন্দর করে গুছিয়ে নিলেই ঘরের সৌন্দর্য বেড়ে যায় বহুগুণ। 

আমন্ত্রিতরা মূলত বসার ঘরেই সন্ধ্যা কাটাবেন। তাই সেই ঘরের চেহারা বদলাতে হবে। বসার ঘরে এক কর্নারে রাখতে পারেন বাঁশ বা মেটালের সুদৃশ্য একটি ল্যাম্পশেড। টেবিলের মাঝে রাখুন কাচের বাটিতে ফ্লোটিং ক্যান্ডেল। বসার ঘরে ছোট্ট একটি টেবিলে রাখতে পারেন টুকিটাকি খাওয়ার ব্যবস্থা। যেমন- নাড়ু, পিঠা, মোয়া, নকুলদানা, গজা। যাতে আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে অনেকেই খেতে পারেন।

শোয়ার ঘর ভীষণ ব্যক্তিগত। বেডরুম, গেস্টরুমের বিছানায় পরিষ্কার চাদর পেতে রাখবেন। পাশাপাশি বিছানায় তিন-চারটি কুশন ফেলে রাখুন। অবশ্যই বিছানার পাশে ছোট টেবিলে পানির জগ ও গ্লাস রাখতে ভুলবেন না। পাশে ছোট ফুলদানিতে রাখুন তাজা ফুল। শিশুদের রুম যে কোনো উৎসবেই ঠিক রাখাটা এক বিরাট ঝক্কির কাজ। ছোট বাচ্চারা লাফালাফি করবে এটাই স্বাভাবিক। শিশুদের রুমের বিছানার চাদর একটু রঙিন রাখুন। চাইলে আলোর যে মালাগুলো কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে রুমটা সুন্দর করে ডেকোরেশন করে দিতে পারেন।  

পূজা মানেই যে ভূরিভোজ। আর ভূরিভোজের ঠিকানা তো হেঁশেল। সেই জায়গাটি না সাজালে চলে! রান্নাঘরের তাক পরিষ্কার করে তাতে নতুন কৌটা রাখুন। রান্নাঘরের জানালার পাশের জায়গায় ছোট ছোট গাছ রাখতে পারেন। গাছের সবুজ রঙে রান্নাঘর আরও বর্ণময় হয়ে উঠবে। বাথরুম বা স্নানঘর। ঘরের এই স্থানটির দিকে অনেকেই নজর দিতে ভুলে যান। বেসিনের এক কোনায় কাচের গ্লাস বা ছোট ফুলদানিতে রাখতে পারেন মানিপ্ল্যান্ট বা গোলাপ। বাথরুম পরিষ্কারের পাশাপাশি ছড়িয়ে দিন হালকা সুগন্ধি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫