
শীতে ফিট থাকতে নিয়মিত সবজি খাওয়া জরুরি। ছবি- সংগৃহীত
শীতের মৌসুমে ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বরসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই শীতে সুস্থ থাকতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকার জন্য ডায়েটে পুষ্টিকর খাবারের বৈচিত্র্য থাকা উচিত। যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণকে সহজে মেরে ফেলতে পারে। শীতকালে সুস্থ থাকার জন্য যেসব খাবারে গুরুত্বারোপ করা জরুরি-
ফাইবার যুক্ত খাবার: বেশি পরিমাণে ফাইবার যুক্ত খাবার খান। ওটস এবং বাদাম ফাইবার যুক্ত খাবার। এগুলো শরীরের ওজন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। বয়স্কদের জন্য এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে এইসব জাতীয় খাবার খাওয়া বেশি প্রয়োজন।
ভিটামিন সি-জাতীয় খাবার: শীতকালে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণে সাইট্রাস জাতীয় ফলের বিকল্প নেই। শীতের সময় বেশি বেশি লেবু, পেয়ারা, কমলা ও আমলকী এইসব জাতীয় ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দেয়ার।
স্যুপ: শীতে শরীর সুস্থ রাখতে স্যুপ বা ঝোল দারুণ উপকারী। শীতেই মেলে স্যুপের আসল মজা। ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় গরম-গরম স্যুপ। এতে শরীর থেকে একটু হলেও কাটবে ঠান্ডার রেশ। শরীর সুস্থ রাখতে শীতের সময় নানা সবজি আর মুরগির মাংস বা ডিম দিয়ে বানিয়ে খেতে পারেন স্যুপ।
মাছ: শীতে বেশি করে মাছ খান। আমিষের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন দুই বেলা মাছ খান। খাবারে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সামুদ্রিক মাছ রাখুন।
দুধ: দুধ হচ্ছে একটি আদর্শ খাবার। যাতে প্রচুর পরিমাণের পুষ্টি গুনে ভরপুর। শীতকালে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে একদিনও খাওয়া থেকে দুধ বাদ দিবেন না।
পালং শাক: শীতে বাজারে পালং শাক প্রচুর পাবেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও শীতে সুস্থ থাকতে পালং শাক খেতে পারেন। পুষ্টিতে ভরপুর পালংয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যানসার প্রতিরোধী গুণের কারণে এটি ‘সুপারফুড’ হিসেবে পরিচিত।
মূলজাতীয় সবজি: গাজর, মুলা, বিট ও শালগমের মতো মূলজাতীয় সবজি শীতকালীন খাবার হিসেবে আদর্শ। এগুলো শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে কাজ করে। শীতের সময় ফিট থাকতে নিয়মিত এ ধরনের সবজি খাওয়া জরুরি।
মধু: সুস্থ থাকতে শীতকালসহ অন্য সময়ও চিনি খাওয়া উচিত নয়। এর বিকল্প হিসেবে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। মধু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অন্যান্য পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। এসব পদার্থ শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া মধু ঠান্ডায় শরীর গরম রাখতেও ভূমিকা রাখে।