
শীতের পোশাক।
শীত আসি আসি করছে। দিনে রোদের তাপ থাকলেও সন্ধ্যার পর হিম ভাবটা বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে। এই সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। না হলে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। ফলে বের করা হচ্ছে শীতের পোশাক। গত এক বছর ধরে বাক্সের ভেতরে রয়েছে এগুলো। ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে না নিলে অ্যালার্জির মতো রোগের সংক্রমণঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই এগুলো ব্যবহারের আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি...
- শীতের পোশাক আগে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখলে আবার ধুয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কড়া রোদে দুই দিন রেখে ব্যবহার করুন।
- সোয়েটার বা উলের পোশাক ধোয়ার প্রয়োজন হলে ঠান্ডা পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
- উলেন সোয়েটারের ববলিন থেকে অনেকের অ্যালার্জি হয়। তাই ব্যবহারের আগে রেজর দিয়ে চেঁছে ববলিন দূর করে নিন।
- লেপ যেহেতু ধোয়া যায় না, সেহেতু ভ্যাপসা গন্ধ দূর করতে রোদে দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। লেপের কভার ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে লেপে পরিয়ে নিন।
- কম্বল উঠিয়ে রাখার আগে ধুয়ে না রাখলে লন্ড্রিতে দিয়ে ড্রাই ওয়াশ করিয়ে নিন।
- ফ্লানেল কাপড় শ্যাম্পু দিয়ে ধুতে হবে। পানিতে ভেজানোর এক ঘণ্টা পরই ধুয়ে ফেলতে হবে। অল্প রোদে কিংবা ছায়ায় রেখে শুকাতে হবে।
- নরম ব্রাশ দিয়ে কোট-জ্যাকেটটি পরিষ্কার করে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন। প্রয়োজনে পোশাকে সুতি কাপড়ের কাভারও ব্যবহার করতে পারেন।
- সোয়েটার পরে হেয়ার স্প্রে বা পারফিউম ব্যবহার করবেন না। দাগ হতে পারে।
- কাশ্মীরি শাল ও সোয়েটার ইস্ত্রি করার সময় পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করুন। এতে ফেব্রিক ভালো থাকবে।
- কাঁথা শীত-গ্রীষ্ম সব সময়ই ব্যবহার করা হবে। তবে শীতের জন্য উঠিয়ে রাখা কাঁথা ব্যবহারের আগে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিন ভালো করে।