
ক্যান্সারের সেল। ছবি: সংগৃহীত
আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। প্রতিবছর ৪ ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষায় ক্যানসারকে বলা হয় ‘মাল্টি ফ্যাকেটেরিয়াল ডিজিজ’। কারণ কোনো নির্দিষ্ট কারণে এ রোগ হয় না। আবার কোনো নির্দিষ্ট খাবার ক্যানসার প্রতিরোধও করতে পারে না। তবে সুষম পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। একদিকে যেমন কিছু কিছু খাবার নিয়মিত পাতে রাখার অভ্যাস করতে হবে, অন্যদিকে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
চলুন জনে নেই যেসব খাবার কমায় ক্যানসারের ঝুঁকি-
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার
ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল প্রাকৃতিকভাবে ডিএনএ মেরামত করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কেমোথেরাপির পর কিউয়ি ফল রোগীর শরীরে খুব ভালো কাজ করে।
রঙিন শাকসবজি ও ফলমূল
দৈনিক একধরনের সবজি না খেয়ে বিভিন্ন ধরনের রঙিন শাকসবজি খেতে হবে। কারণ, একটি রঙিন ডায়েট আপনার ক্যানসার লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। বিভিন্ন রঙিন শাকসবজিতে ক্যারোটিন, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন (সি, ই, ফলিক অ্যাসিড ইত্যাদি), মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পলিফেনল ও ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
মাশরুম
ক্যানসার প্রতিরোধক খাবারের নামের তালিকায় প্রথমেই যে খাবারের নাম চলে আসে, তা হলো মাশরুম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরের ক্যানসার প্রতিরোধে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই খাবার ডায়েটলিস্টে রাখতে পারেন।
কোলিনসমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি
ক্যান্সার প্রতিরোধে খেতে পারেন কোলিনসমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি। এ শাকসবজির মধ্যে রয়েছে ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শর্ষেশাক, মুলা ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব শাকসবজি ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে।
গ্রিন টি
শরীরের কোষগুলোর সুরক্ষার জন্য পান করতে পারেন গ্রিন টি। এতে রয়েছে ইজিসিজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের প্রদাহ দমন করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।
রসুন
ক্যানসার প্রতিরোধে রসুনের বিকল্প নেই। রসুনের অ্যালিসিন নামক যৌগ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের আশঙ্কা কমাতে সাহায্য করে। এটি মূলত ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তাই রান্নায় রসুনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দুপুরের খাবারে এক কোয়া রসুনও রাখতে পারেন।
এসব খাবার নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাসে শরীরে সহজে ক্যানসাররের বীজ বাসা বাঁধতে পারে না। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে প্রতিদিন এসব খাবারকে প্রাধান্য দিতে হবে।