
প্রতীকী ছবি।
একটানা কাজ করতে করতে আমাদের জীবন যখন হাঁপিয়ে ওঠে, তখন কোথাও থেকে একটু বেড়িয়ে এলে সব অবসাদ-বিষণ্ণতা দূর হয়ে যায়। পাওয়া যায় নতুন করে কাজ করার শক্তি। আর বেড়ানোর জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। তবে বেড়াতে গিয়ে একটু সচেতন না থাকলে ভ্রমণ-আনন্দে বাদ সাধতে পারে ফুড পয়জনিং।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত নতুন জায়গা ও পরিবেশের খাবার ও পানিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ভ্রমণকারীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কাছে নতুন। তাই এই নতুন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি টের পেয়ে শরীর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে। কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে সেখানে কী কী ধরনের রোগবালাইয়ের উৎপাত বেশি, ভালো করে জেনে নেওয়া উচিত। এছাড়া আগে থেকেই ফুড পয়জনিংয়ের জন্য প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিপাকতন্ত্র-সংক্রান্ত রোগের জন্য ওষুধ ও ডিহাইড্রেশনের জন্য ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ সলিউশন সঙ্গে রাখুন। যেখানে ঘুরতে যাবেন, সেখানে সবচেয়ে ভালো চিকিৎসাসেবা কোথায় কোথায় পাওয়া যেতে পারে, তার একটা তালিকা আগে থেকেই নিয়ে রাখুন।
ফুড পয়জনিং হলে করণীয়
নানা ধরনের ক্ষতিকর অণুজীবমিশ্রিত দূষিত খাবার বা পানি খেলে সাধারণত ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা এড়াতে মেনে চলুন কয়েকটি উপায়...
হাইড্রেটেড থাকুন: ফুড পয়জনিং হলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি পড়ে। সে ক্ষেত্রে বেশি বেশি পানি খেয়ে শরীর আর্দ্র রাখতে হবে। প্রয়োজনে ডাবের পানি পান করুন।
সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ: ফুড পয়জনিং হলে নরম ও সহজপাচ্য খাবার খেতে হয়। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পারলে কাঁচকলা ভর্তা দিয়ে ভাত খান।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: ফুড পয়জনিং হলে বেশ ভালো একটা সময় টয়লেটেই কেটে যায়। তাই টয়লেটের বাইরে থাকার সময়টা যতটা পারা যায় বিছানায় থেকে বিশ্রাম নিতে চেষ্টা করবেন। কারণ ফুড পয়জনিংয়ে পরিমিত সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সময় বেশি হাঁটাচলা না করাই ভালো।
অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন: খাবার যেন টাটকা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। তেলে ভাজা, মসলা ও ঝালযুক্ত খাবার, মিষ্টি, চাটনি, আচার, কাঁচা সবজি, আঁশযুক্ত খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, শসা, মাংস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: ভ্রমণে গিয়ে সব সময় খাবার ও পানির উৎসের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। গরম ও টাটকা খাবারের পাশাপাশি যে খাবারটি খাচ্ছেন তা স্বাস্থ্যসম্মত কি না তা যাচাই করে নেওয়া উচিত। পরিষ্কার বোতলজাত পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন।