
এসি-ফ্রিজ। ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টি হলেও গরম কিন্তু কমছে না। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি আরও বেড়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে ঘরের ভেতরের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার। ফলে মাস শেষে মোটা অঙ্কের বিল আসতে পারে। তাই মাসিক খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদ্যুতের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
শুধু বিল বাঁচাতেই নয়, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে হবে প্রাকৃতিক কারণেও। এ ক্ষেত্রে আলো-পাখার ব্যবহার কমানোই নয়, খরচ বাঁচাতে অবলম্বন করতে হবে কিছু কৌশল।
মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর সুইচ বন্ধ করার অভ্যাস নেই অনেকেরই। এসির ক্ষেত্রেও রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করা হয় না। এতে অতিরিক্ত ইউনিট খরচ হয়, বিল বাড়ে।
ঘরে সিএফএল ও এলইডি আলো লাগাতে পারেন। এই আলোয় বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। সাধারণ বাল্বে আলোর জন্য ফিলামেন্ট ব্যবহৃত হয়, এলইডিতে থাকে সার্কিট। ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিটে বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই কম হয়।
বারবার এসি চালু ও বন্ধ করা যাবে না। যত বার এসি বন্ধ করে চালানো হবে, তত বেশি ইউনিট খরচ হয়। এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখাই সবচেয়ে ভালো। এ ছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রে এনার্জি সেভার মোড থাকলে, তা ব্যবহার করবেন।
ফ্রিজের বেলাতেও মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। ফ্রিজ দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন। ফ্রিজে গরম খাবার রাখবেন না। একটু ঠান্ডা করে তার পর তুলুন ফ্রিজে। তাতে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে চাইলে রেফ্রিজারেটর, টিভি ও ওয়াশিং মেশিনের মতো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়মিত ও ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা আবশ্যক। এগুলোর কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যেতে পারে। সামান্য টাকা বাঁচাতে সার্ভিসিং করান না অনেকে। এতে কিন্তু পরবর্তী সময়ে খরচটা অনেক বেশি পড়ে যায়।
পুরনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র তুলনামূলকভাবে বিদ্যুতের খরচ বাড়ায়। তাই বেশি পুরনো (১০ বা ১৫ বছরের) বৈদ্যুতিক যন্ত্র একবার খারাপ হয়ে গেলে সেটা ঠিক না করে নতুন মেশিন ব্যবহার করাই বিবেচকের কাজ।
সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের সুফল হচ্ছে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করতে হবে না। আর সৌরবিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব জ্বালানি। বাসার বারান্দা, ছাদ কিংবা অন্য যে কোনো ছোট্ট জায়গায় সোলার প্যানেল বসানো যায়।
দিনের বেলা প্রাকৃতিক আলো-বাতাস প্রবেশের জন্য জানালা এবং দরজা পুরোপুরি খুলে দিন। সূর্যের আলো ও তাপ সরাসরি ঘরে প্রবেশ বন্ধ করতে ভারী পর্দা বা গাছপালাও ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে কক্ষের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।