
মাদামবিবির হাট এলাকায় ঘরোয়া জিনিসপত্র পাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত
বন্দর নগরী চট্টগ্রাম নানান কারণে সকলের কাছে পরিচিতি পায়। এই যেমন চট্টগ্রামের মেজবান, শুঁটকি, পাহাড়, নদীও সকলকে টানে। ঠিক একইভাবে জাহাজের আসবাবপত্রের জন্য চট্টগ্রামে অনেকেই আসেন।
জেলার সীতাকুণ্ডু উপজেলার মাদামবিবির হাট, ভাটিয়ারি, ফৌজদার হাটসহ আশপাশের এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে পুরনো জাহাজ থেকে সংগ্রহ করে আনা বিভিন্ন আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক পণ্য, সিঁড়ি, দড়িসহ নানা জিনিসের সারি সারি দোকান। এখানে পুরনো জাহাজের সব মালামালই পাওয়া যায়।
বিশেষ করে মাদামবিবির হাট এলাকায় ঘরোয়া জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এখানে খাট, কিচেন সিংক, বেসিন, বাথটাব, ফ্রিজ, টিভি, টেবিল, ল্যাপটপ, ঘডি, পিসি, ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, দা-ছুরি, চেয়ার, সোফা, আলমারি, শোপিস, ওয়ালম্যাট, চিত্রকর্ম, থেকে ফুলদানি পর্যন্ত মেলে।
একটি জাহাজে কী নেই? একটি পরিবারে যা যা প্রয়োজন তা-ই আছে। বলা যায় উন্নত আধুনিক সব জিনিসপত্র থাকে জাহাজে। জাহাজ থেকে আসা এসব জিনিসপত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি হওয়ার অবশ্য কারণও আছে। এসব আসবাবপত্রের মান ও দাম দুটিই ক্রেতাদের পছন্দের নাগালে। আসবাবপত্রটি সামান্য পুরনো কিংবা ধূসর হলেও এসব জিনিস টেকসই হয়।
মাদামবিবির হাটে এসব আসবাবপত্রের দাম সাইজ ও কোয়ালিটি অনুযায়ী হয়ে থাকে। সিঙ্গেল ও ডাবল খাটের দাম পড়বে ৩ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আলমারি ও ওয়ারড্রব ৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ১ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে টেবিল। চেয়ার ৩শ থেকে ৭ হাজার টাকায়। এ ছাড়াও আছে আসবাবের প্যাকেজ, যাতে থাকবে একই ডিজাইনের খাট, ড্রেসিং টেবিল, শোকেস, আলমারি। এসবের দাম প্যাকেজে নিলে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
চট্টগ্রামের পুরনো জাহাজের এই মালামাল বিক্রয়ে ঐতিহ্য বেশ পুরনো। সীতাকু-ের বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে ভিন্ন ধরনের এই ব্যবসা। এখানে বছরে বেচাকেনা হয় কয়েক কোটি টাকার।