
প্রতীকী ছবি
দিনশেষে সবচেয়ে শান্তির জায়গা ঘর। এ কারণে ঘরকে উপাসনালয়ের সঙ্গেও তুলনা করা হয়। অনেকেই নিজের ঘরকে এমনভাবে সাজাতে চান যেন দেয়ালে চোখ পড়তেই মন ভরে ওঠে। কিন্তু দেয়াল রাঙাতে গেলেই মাথায় ভর করে খরচের চিন্তা। কেননা রঙের যা দাম! পাশাপাশি দেয়াল সাজানোর অন্য উপকরণগুলোও তেমন সহজলভ্য নয়। তারপরও এই দুর্মূল্যের বাজারে সহজেই সাজিয়ে তুলতে পারেন ঘরের দেয়াল।
মোবাইল ফোনের গ্যালারির কথা ভাবুন। আপনার এবং প্রিয়জনের ছবিগুলো যেন হাসছে। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। চাইলে ঘরের দেয়ালকে সাজিয়ে তুলতে পারেন গ্যালারি স্টাইলে। এতে দেখতেও ভালো লাগবে। আর মনও ভালো হয়ে যাবে। গ্যালারি স্টাইলে সাজাতে অ্যাবস্ট্রাক্টভাবে ফ্রেমবন্দি ছবি সাজিয়ে নিতে পারেন। রাখতে পারেন পছন্দের শিল্পীদের চিত্রকর্ম। চাইলে ওয়াল হ্যাংগিং লাগাতে পারেন। ফ্রেমের ডিজাইনের দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ছবিগুলোর দিকে নজর দিন যেন সাধারণ ডিজাইনের ফ্রেম ছবির গুণে হয়ে ওঠে নজরকাড়া।
আয়নাও হয়ে উঠতে পারে দেয়াল সাজানোর উপকরণ। দেয়ালে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি আয়না বিভিন্নভাবে লাগালে দেখতে বেশ লাগবে। কিংবা গোটা দেয়াল একটি আয়নায় ঢেকে দিতে পারেন। সেটিও অন্যরকম মুগ্ধতা ছড়াবে। আয়না আলো রিফলেক্ট করে। এ কারণে ছোট জায়গায়ও উজ্জ্বল এবং বড় লাগবে।
খুব সহজে ঘরের দেয়াল সাজিয়ে তোলার উপযোগী উপকরণ ওয়াল পেপার। এতে থাকে না দেয়াল রঙ ও বাড়তি খরচের ঝামেলা। না দিতে হয় বাড়তি শ্রম। দোকানে হরেক রকম ওয়াল পেপার পাওয়া যায়। বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের হয়ে থাকে তা। দামও সাধ্যের মধ্যে। শুধু পছন্দসই ওয়াল পেপার কিনে এনে দেয়ালের গায়ে সেঁটে দিলেই হলো। তবে এ ক্ষেত্রে কক্ষের ওপর নির্ভর করে ওয়াল পেপারের ডিজাইন ও রঙ পছন্দ করা উচিত। বসার ঘরের সঙ্গে শোয়ার ও রান্নাঘরের ওয়াল পেপারের রঙে পার্থক্য রাখা উচিত। ঘরের অন্য দেয়ালের রঙের সঙ্গে মানানসই ফ্লোরাল অথবা জ্যামিতিক একটি ওয়াল পেপার ঘরের সাজে যোগ করবে নতুন মাত্রা।
ঘরের দেয়াল সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন গাছ। অনেকেই ইনডোর প্ল্যান্টের মাধ্যমে এই কাজটি করে থাকেন। দেয়ালের গায়ে গাছ সাজিয়ে রাখলে একদিকে যেমন প্রকৃতি আর প্রাণের ছোঁয়া মিলবে অন্যদিকে তা বৃদ্ধি করবে ঘরের সৌন্দর্য। দেয়ালের পাশাপাশি ঘরের আসবাবপত্রের ওপরে বসিয়ে বা ঝুলিয়ে রাখা যায় এমন ইনডোর প্ল্যান্টও ঘরের পরিবেশে মুগ্ধতা বাড়ায়।
এর বাইরে বাজারে নানা ধরনের নান্দনিক শিল্পকর্ম পাওয়া যায়। যেগুলো ঘরের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। আবার বই, পুরনো ক্যাসেট, সাজানোর জিনিস রাখলে দেয়ালে অন্যরকম আবহ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে পাওয়া যাবে রুচির বহিঃপ্রকাশ। ঘরের দেয়াল সহজে সাজাতে কাগজের ব্যবহার করতে পারেন। কাগজ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানানো যায়। যেমন-ফুল, পোলকা ডট কিংবা হার্ট-এসব বানিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে পারেন দেয়ালে। মুহূর্তেই নান্দনিক হয়ে উঠবে দেয়ালটি। একেবারেই কম খরচে দেয়ালের সৌন্দর্য বৃদ্ধির এমন মাধ্যম আর নেই বললেই চলে।