
প্রতীকী ছবি
খাবার যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে তা সুস্থতার জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে পড়ে। কারণ সামান্য গরমিল হলেই সেখান থেকে পেটের পীড়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রতি ১০ জন মানুষের মাঝে একজন অনিরাপদ খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাবার নিরাপদ রাখতে যেসব পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও, তার মধ্যে রয়েছে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখা, খাবার ভালোভাবে রান্না করা, খাবারকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা এবং রান্নার সময় নিরাপদ পানি ও নিরাপদ কাঁচামাল ব্যবহার করা।
তাপমাত্রার বিষয়ে ডব্লিউএইচওর সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও অনেক সাধারণ মানুষ তা জানেন না। সেজন্যই অনেকেই আছে, যারা ফ্রিজে রাখা খাবার বারবার গরম করেন। খাবার বারবার গরম করলে প্রথমত খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। দ্বিতীয়ত এতে খাবারে ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এটি পেটের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং এটি থেকে ডায়রিয়া বা বদহজম দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম।
তিনি বলেন, খাবারে বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদান দ্বিতীয়বার গরম করলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে বিষাক্ত উপাদান তৈরি হতে পারে, যা পরে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
আবার ফ্রিজের সহজলভ্যতার কারণে ফ্রিজে খাবার রাখা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলেন, ফ্রিজে বেশিদিন খাবার রাখা ঠিক না। ফ্রিজে দীর্ঘদিন খাবার রেখে দিলে খাবারের রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়, স্বাদ গন্ধযুক্ত হয় ও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়; যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। তবে যে খাবার পচনশীল, সেগুলো দুই ঘণ্টার মাঝে ফ্রিজে রাখতে হবে এবং নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে এবং খুব বেশিদিন ফ্রিজে রেখে দেওয়া যাবে না।
এদিকে ফ্রিজ থেকে বের করা খাবার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া যাবে না। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করার পর তা কিছুক্ষণ স্বাভাবিক তাপে রেখে তারপর গরম করতে হবে। আবার খাবার গরম করার পরও তা সঙ্গে সঙ্গে না খেয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ রেখে খেতে হবে। সূত্র : বিবিসি