
খাবার। ছবি: সংগৃহীত
‘কিটো ডায়েট’ শব্দটির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। ১৯২০ এবং ৩০-এর দশকে বিশ্বব্যাপী কিটো ডায়েট জনপ্রিয় হলেও পরবর্তীকালে এই ডায়েট ব্যবহারে ধস নামে। কিন্তু ইদানীং এই ডায়েট আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কিটো ডায়েট হলো একপ্রকার বিশেষায়িত খাদ্যাভ্যাস বা পথ্য ব্যবস্থা, যেখানে উচ্চমাত্রার চর্বি, পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ এবং অল্প পরিমাণে শর্করা থাকে। এই খাদ্যাভ্যাস শর্করার বদলে চর্বি পোড়ানোর মাধ্যমে দেহে শক্তি সরবরাহ করে। কিন্তু এই ডায়েট আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা জানা জরুরি।
কিটো ডায়েট একটি পথ্যনির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতি, যা চালু হয়েছিল মৃগীরোগ সারানোর জন্য। এ ডায়েট শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে ঠিকই; কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় যা অনেকেরই অজানা। কিটো ডায়েট বেশিরভাগ ক্যালরি নেয় চর্বি থেকে এবং অল্প পরিমাণে নেয় কার্বোহাইড্রেট থেকে। এতে করে শরীরে চর্বির পরিমাণ দ্রুত কমে আসে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বাথের সেন্টার ফর নিউট্রিশন, এক্সারসাইজ অ্যান্ড মেটাবলিজম কর্তৃক ১২ সপ্তাহ ধরে পরিচালিত ৫৩ জন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তির ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিটো ডায়েটের ফলে মানুষের শরীরের চর্বি ব্যাপকহারে কমলেও বাড়তে থাকে রক্তে ক্ষতিকর চর্বির পরিমাণ। এটা যদি কয়েক বছর ধরে ঘটতে থাকে তবে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং পরবর্তীকালে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়।
কিটো ডায়েট কীভাবে কাজ করে, কী কাজ করে সেটা ব্যাখ্যা করার জন্য অনেক প্রকল্প কাজ করলেও এটা এখন পর্যন্ত রহস্যই রয়ে গেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কিটোডায়েটের ওজন হ্রাসের সুবিধাগুলোর চেয়ে ঝুঁকি বেশি কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি গবেষণার প্রয়োজন।