Logo
×

Follow Us

লাইফস্টাইল

সময়জ্ঞান একটি মহৎ গুণ

Icon

অনিন্দ্য শুভ

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৯:১২

সময়জ্ঞান একটি মহৎ গুণ

ঘড়ি। প্রতীকী ছবি

সময় প্রবহমান। কারও জন্য অপেক্ষা করা তার কাজ না। বরং তাকে যে কাজে লাগাতে পারে সে-ই বুদ্ধিমান। যেহেতু সময় কারও জন্য বসে থাকে না, সে কারণেই এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু যানজটের এ শহরে আধ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে ব্যয় হয় দুই ঘণ্টা। ফলে সময়ের গুরুত্ব দেওয়াও যেন অধিক বিড়ম্বনা। কিন্তু সময় কি সে কথা শোনে! তাকে গুরুত্ব দিতেই হবে। সেই সঙ্গে সময়জ্ঞান একটি মহৎ গুণের মধ্যেও পড়ে। মনীষীদের বাণী, ধর্মগ্রন্থেও সময়ের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

চাকরি-ব্যবসা সর্বত্রই এর বন্দনা করতে হবে। ধরুন কোথাও চাকরির পরীক্ষা দিতে গেলেন নির্ধারিত সময়ের বেশ পরে। তাতেই যথেষ্ট। সময়জ্ঞানের অভাবে চোখ বুজে কর্তৃপক্ষ আপনাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেবে। 

নিজেকে কর্মক্ষেত্রে সবার আস্থাশীল করে তুলতে হলে সময়কে অবশ্যই গুরুত্ব দিন। অফিসে নির্ধারিত সময়ে প্রবেশ করুন এবং মাস শেষে এটাই নিয়মানুবর্তিতার পরিচয় দেবে। এ ছাড়া সময়ের কাজ সময়ে করুন। পরে করব বলে ফেলে রাখবেন না। অন্যদের দেখে এ কাজে উৎসাহীও হবেন না। পারলে নিরুৎসাহী করুন। এতে দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে আস্থা অর্জন করতে পারবেন সবার কাছে। যা ক্যারিয়ার উজ্জ্বল করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। 

নির্ধারিত সময়ে অফিসের মিটিংসহ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলোতে যোগ দেওয়াও পেশাগত জীবনের সময়ের সঠিক ব্যবহারের মধ্যে পড়ে। অনেকেই আছেন নির্ধারিত সময়ের পর অফিসিয়াল মিটিংয়ে যোগ দেন। বিষয়টি দৃষ্টিকটু। এটি দায়িত্বহীনতার পরিচয়। সময়জ্ঞান নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। কেউবা একই অজুহাতে আগেই গিয়ে বসে থাকেন। কিন্তু জানেন কি তারাও অন্যদের কাছে বিরক্তির কারণ। কাজ ফাঁকি দিয়ে সময় নষ্ট করার কারণে দায়িত্বহীন হিসেবেও চেনা হয় তাদের। সময়জ্ঞান নেই বলে বিবেচনা করা হয় তাদের। এ রকম কর্মীর প্রতি সহকর্মীদের যেমন বিরক্তি থাকে, তেমনি কর্তৃপক্ষও ভরসা পান না। অতএব এটা স্পষ্ট যে ক্যারিয়ার উজ্জ্বল করতে সময়জ্ঞান থাকা খুবই প্রয়োজনীয়। এর বিকল্প নেই। 

ব্যবসার ক্ষেত্রেও সময়ের গুরুত্ব একইভাবে প্রযোজ্য। আগেই বলেছি ঢাকা যানজটের শহর; যা নির্ধারিত সময়ে কাজ করতে ব্যাঘাত ঘটায়। যেহেতু এই বিড়ম্বনা নিয়েই চলতে হবে তাই কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশে সময় হাতে নিয়ে বের হওয়া উচিত। এতে করে পেশাগত জীবনে সময় নিয়ে বিড়ম্বনা পোহাতে হবে না।

তবে শুধু পেশাগত জীবনে না, ব্যক্তিগত জীবনেও সময়জ্ঞান থাকা জরুরি। যে কোনো সম্পর্ক উন্নয়নে সময়জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিষয়টি প্রত্যেকের মাথায় রাখা উচিত। 

পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝানো উচিত। যাতে করে তারাও এই নিয়মানুবর্তিতা মেনেই বেড়ে ওঠে। এতে পেশাগত জীবনে যেমন সময়ের সঠিক ব্যবহার হবে তেমনই ব্যক্তিজীবনেও সময়ের অপচয় থেকে বিরত থাকা যাবে। যা একান্তই জরুরি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫