Logo
×

Follow Us

লাইফস্টাইল

অগোছালো আলমারি জানায় মনের অবস্থা

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৪

অগোছালো আলমারি জানায় মনের অবস্থা

অগোছালো ঘর। ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের একদিনের ছুটিতে ঘর গোছাতে মন চায় না। আবার বাড়িতে মেহমানের আনাগোনা লেগে থাকে। এই পরিস্থিতি থেকে চটজলদি নিস্তার পেতে অনেকেরই ভরসা আলমারি। তার ভেতরে সব একেবারে লুকিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু গোছানো হয়ে ওঠে না কিছুতেই। বিশেষজ্ঞদের মত, কোনো মানুষের আলমারি যদি অগোছালো অবস্থায় থাকে, তবে তিনি হয়তো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছেন।

ধোয়া কিংবা অধোয়া পোশাক এলোমেলো ছড়িয়ে রাখা, অপ্রয়োজনীয় বাক্স, মোড়ক, ব্যাগ ঘরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা শুধুই অগোছালো স্বভাব নয়, হতাশারও পরিচয় বহন করে। এর সঙ্গে যখন প্রচণ্ড মানসিক চাপ, অস্বস্তি, অবসাদ চোখে পড়ে, তখন আর সন্দেহের অবকাশ থাকে না। কারও কারও আবার আলমারিতে পুরনো জামা-কাপড় জমিয়ে রাখার অভ্যাস রয়েছে। মনোবিদদের দাবি, পুরনো পোশাক যারা আলমারিতে জমিয়ে রাখেন, তারা নস্টালজিক হন। ওই পোশাকের কথা ভেবেই তারা স্মৃতি রোমন্থন করতে ভালোবাসেন। 

অগোছালো ঘর শুধু মন মানসিকতা নয়, দৈনন্দিন জীবনের উপরেও সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে। অগোছালো ঘরে গুরুত্বপূর্ণ কিছু হারিয়ে ফেলে ক্ষতি হতে পারেন। আবার একই কাজের জন্য একাধিক জিনিস কিনে পয়সা নষ্ট হওয়াও সাধারণ ঘটনা। 

যদি কেউ অবসাদে ভোগেন, তাহলে তাকে আলমারি গোছানোর কাজ দেওয়া উচিত। এই রুটিনে মনের অবসাদ কমে। আবার চিন্তাভাবনাগুলোও কম থাকে। কারণ মন তখন একটা নির্দিষ্ট কাজে ব্যস্ত থাকে। যে মানুষ যত ভালো আলমারি গোছাতে পারেন, তিনি তত বেশি সৎ। 

নিয়মিত আলমারি গোছানোর ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই করে উঠতে পারে না। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মাসে একটি ছুটির দিন অন্তত আলমারি গোছানোর জন্য রাখুন। এতে সময়ও বাঁচবে, মনও ভালো থাকবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫