Logo
×

Follow Us

লাইফস্টাইল

লকডাউনে বাড়ছে টেনশন

Icon

আশরাফুল ইসলাম আকাশ

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২০, ০০:১৪

লকডাউনে বাড়ছে টেনশন

লকডাউনের মেয়াদ যতো বাড়ছে, ততোই বেড়ে চলেছে দুশ্চিন্তা। কিছুতেই যে আর নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে না! করোনার স্বস্তি কবে মিলবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। বাড়ির কাজ করে অফিসের কাজ সময়মতো শেষ করা যাচ্ছে না। ফলে, রাত জাগতেই হচ্ছে। বিছানায় শোয়ার পরেও ঘুম আসছে না কিছুতেই! 

আমাদের ঘুমের ধরন একটু বদলে নিতে হবে। রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস ছাড়তে হবে। রাতে ঘুম পেলে ঘুমিয়ে পড়ুন। আর সকালে ওঠার জন্য ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখবেন না। স্বাভাবিক ভাবেই ঘুমটা ভাঙতে দিন। এতে প্রথম ক’দিন আপনি একটু বেশি ঘুমোতে পারেন; কিন্তু খুব শিগগিরই একটা ছন্দ চলে আসবে। তখন আর অসুবিধে হবে না।

দুপুরে একেবারেই ঘুমাবেন না। বাড়িতে থাকলে দুপুরে খাওয়ার পর চোখ জুড়িয়ে আসতে পারে ঘুম; কিন্তু ঘুমাবেন না। তাতে আপনার অফিসের কাজ তো বটেই, এমনকি, রাতের ঘুমও নষ্ট হয়ে যাবে। তবে আগের রাতে যদি একদমই ঘুম না হয়ে থাকে, তবে একটু চোখ বুজে নিতে পারেন। খুব বেশি হলে মিনিট দশ-পনেরোর জন্য। 

দুপুরে ঘুম এড়াতে শোয়ার ঘরে বসে কাজ করবেন না। তাতে বিছানায় গা একটু এলিয়ে নেয়ার ইচ্ছা হতে পারে। তাই কাজের সময় শোয়ার ঘরটা এড়িয়ে চলুন। বিছানায় নয়, চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করুন। প্রয়োজনীয় স্টেশনারি হাতের কাছে রাখুন। 

রাতে ঘুম না হওয়া রুখতে দিনে কফি খাওয়ার পরিমাণ কমান। এমনিতেই অতিরিক্ত ক্যাফিন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই ঘুমের সমস্যা থাকলে বিকেলের দিকে বা সন্ধ্যার পর কফি না খাওয়াই উচিত। কফির নেশা থাকলে দিনের বেলায় খান। তবে দু’তিন কাপের বেশি নয়। কিন্তু সন্ধ্যা বা রাতের দিকে একেবারেই নয়। আর সারাদিন বাড়িতে বসে বসে কাটাবেন না। কিছু শারীরিক কসরত করুন। বাড়ির বারান্দায় বা ছাদে হাঁটুন, জগিং করুন। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজও করতে পারেন। কিছু না হলে সিঁড়ি ভেঙে ওঠা-নামা করুন। 

রাতের খাবারও খুব দেরি করে খাবেন না। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে টিভি বন্ধ করে দিন। এড়িয়ে চলুন মোবাইল। ঘরের আলো কম রাখুন। ঘরের পরিবেশ যেন যথাসম্ভব আরামদায়ক থাকে। ঘুম না এলেও রোজ নির্দিষ্ট সময়ে শুতে যান। 

আর এড়িয়ে চলুন যাবতীয় দুশ্চিন্তা। আপনি যদি অনিদ্রার রোগী না হন, শুধু বাড়তি মানসিক চাপ বা অবসাদের জন্যই অনিদ্রায় ভুগতে শুরু করেন, তা হলে আপনার প্রথম কাজ হবে মানসিক চাপ কমানো। মনকে বোঝান, যে বিষয়গুলোর ওপর আপনার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করেও লাভ নেই। এর পরেও ঘুম নিয়ে সমস্যা হলে কাউন্সেলিং করাতে পারেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫