Logo
×

Follow Us

লাইফস্টাইল

ঘরে-বাইরে সামলে ভালো থাকা

Icon

রবিউল কমল

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০০

ঘরে-বাইরে সামলে ভালো থাকা

ফুল গাছের পরিচর্যা করছেন এক নারী। ছবি: সংগৃহীত

অফিসে কাজের চাপ, সংসারের হাজার সমীকরণের সঙ্গে মানিয়ে চলার চাপ মানসিকভাবে অস্থির করে রাখে। এছাড়াও ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রত্যাশা থাকে অনেক বেশি। এই যে ঘরে ও বাইরের টানাপড়েন, তা সামলে নিজেকে খুশি রাখা বেশ কঠিন একটি কাজ। বলা যায়, শিল্পের চেয়ে কম কিছু নয়! এসব পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে কীভাবে ভালো থাকবেন, তা নিয়ে রইল কিছু পরামর্শ।

অ্যাকটিভ থাকা : ঘরে ও বাইরে সামলে ভালো থাকার উপায় হলো সব সময় অ্যাকটিভ থাকা। হালকা ব্যায়াম ও কম ক্যালরির খাবার খেতে হবে। তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অবসাদ বা আনন্দ অনেকটা হরমোনই নির্ধারণ করে, ফলে মুড কেমন থাকবে সেটা বোঝার জন্য হরমোন লেভেল পরীক্ষা করা জরুরি। মনকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ কঠিন কাজ। তার চেয়ে শরীরকে একটু শাসন করুন। তাতে মন অনেকটা ভালো থাকবে।

সুস্থ জীবনযাপন : মনের আনন্দের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি হলো শারীরিক সুস্থতা। শরীর ফিট না থাকলে কোনো কিছুতেই ভালো লাগা খুঁজে পাবেন না। সবদিকে ভারসাম্য রাখতে সব সময় নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী ছুটতে হবে। সহজসাধ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেটা পূরণ করার চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন, হতাশা কম হচ্ছে।

সাধ ও সাধ্য বুঝুন : নিজেকে সবচেয়ে কাছ থেকে চেনেন আপনি নিজেই। তাই সাধ আর সাধ্যের মাঝখানের দূরত্বটা বুঝতে হবে। অনেক সময়ই সাধ্য অনুযায়ী সাধকে ঠিক করে নিতে হয়। আবার আশানুরূপ সাফল্য পেলেন না মানেই আপনি একজন ব্যর্থ মানুষ@এই ভুল ধারণা পুষে রাখবেন না। অন্যরা কতটা সফল হলো, তা না ভেবে নিজের দিকে তাকান।

বর্তমানে বাঁচুন : হাজার পরিকল্পনা সত্ত্বেও ভবিষ্যৎ সব সময়ই অনিশ্চিত। তাই শুধু শুধু দুশ্চিন্তা না করে নিজের বর্তমানের দিকে তাকান। ভবিষ্যতের কথা বেশি ভাবলে অনেক সময়ই ছোট ছোট প্রাপ্তি নজর এড়িয়ে যায়। পরে কী হবে না ভেবে বর্তমানের সুন্দর অনুভূতিগুলোকে ছোট করবেন না।

নিজেকে সময় দিন : যতই কাজের ব্যস্ততা থাকুক, নিজের ভালোলাগার কাজগুলোর জন্য সময় বের করতেই হবে। বাগান করুন, গান শুনুন, মাঝে মাঝে বেড়িয়ে আসুন এদিক-ওদিক। ‘সময় পাই না’ খুব দুর্বল অজুহাত। ব্যস্ততার ফাঁকফোকরে অনেক টুকরো সময় লুকিয়ে থাকে। সেগুলো খুঁজে বের করুন।

নিজেকে সারপ্রাইজ দিন : সারপ্রাইজ দেওয়ার দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবেন না। মাঝে মাঝে নিজেকে সারপ্রাইজ দিয়ে দেখুন না, নিজেকে ভালোবাসার মধ্যে অদ্ভুত আনন্দ আছে। বারণ ভুলে খেয়ে ফেলুন আইসক্রিম। অফিস থেকে ফেরার পথে ইচ্ছে করে ট্যাক্সি নিয়ে অন্যপথ দিয়ে ফিরুন। একদিন ঘরে ফিরতে সামান্য রাত হলে ক্ষতি কী?

ডি-টক্সিফিকেশন প্রসেস : খুশি থাকতে চাওয়া মানে কিন্তু কাউকে জোর করে চেপে রাখা নয়। মুখে কৃত্রিম হাসি সেঁটে রাখলেই সুখী হওয়া যায় না। কান্না ডি-টক্সিফিকেশন প্রসেস। কান্নার মাধ্যমে লুকিয়ে থাকা ভয় আর দুঃখ জাতীয় নেগেটিভ ইমোশন একসঙ্গে বের করে দেওয়া হয়। এতে নানা সমস্যার ভারে ভারাক্রান্ত মানুষ ক্রমশ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫