গ্যাস্ট্রিক ও অ্যাসিডিটির সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এ সমস্যার কারণে অনেকে রোজা রাখতে পারেন না। আবার অনেক সময় দেখা যায়, ইফতারে অনেক ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার খেলে এ সমস্যা হয়।  ইফতারের পর কিছু ঘরোয়া দাওয়াইয়ের মাধ্যমে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমানো যায়। 

অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে যা খাবেন সেগুলো হলো:

আদা

আদাতে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান বুক জ্বালাপোড়া ও গ্যাস্ট্রিকের 

 সমস্যা কমায়। হজমজনিত জটিলতা, অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে আদা কাজ করে। 

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার গুণ অনেক। এতে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদানও। এর সুদিং ইফেক্ট অ্যাসিডিটির কষ্ট কমায়। অ্যাসিডিটির সমস্যায় অ্যালোভেরার জুস পান করলে উপকার পাবেন। 

কলা

হজমে সাহায্য করে কলা। এটি অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভালো কাজ করে। স্বল্প মাত্রার অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফলটি ওটসের সাথে মিশিয়ে অথবা শুধু খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।

পুদিনা পাতা

অ্যাসিডিটির সমস্যা ও বুক জ্বালাপোড়া কমাতে পুদিনা পাতার জুড়ি নেই।  এসব সমস্যায় লেবু-পুদিনা পাতার শরবত অথবা পাতা জ্বাল দিয়ে পুদিনা পাতার চা তৈরি করে পান করা যাবে।

ওটস

আঁশ সমৃদ্ধ খাবার ওটস ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশপাশি অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়। তবে অ্যাসিডিটি ও বুক জ্বালাপোড়ার জন্য ওটস খাওয়ার ক্ষেত্রে দুধ ব্যবহার করা যাবে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। অনেকের গরুর দুধে অ্যাসিডিটির সমস্যাটি বেড়ে যায়। এমন হলে আমন্ড মিল্ক বা সয়া মিল্কের সাথে মিশিয়ে ওটস খেতে হবে।

লবঙ্গ

হজমে সহায়তা করে এমন এনজাইম নিঃসরণের মাধ্যমে এবং অ্যাসিড ক্ষরণের মাধ্যমে লবঙ্গ হজমে সাহায্য করে। লবঙ্গ খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, পেট ফাঁপা ও বদহজম দূর হয়।